জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলল যুক্তরাষ্ট্র
২৬ জুন ২০২৪, ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর গত মে মাসে দুনীর্তি দায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কথা বলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর। দপ্তরটি বলেছে, আজিজের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা পুনঃর্নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে পেন্টাগন সেগুলোকেও সমর্থন করে বলেও জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার।
এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন।
তিনি বলেন, পেন্টাগন কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তার সামরিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব এগিয়ে নিচ্ছে, বিষয়টা কী জানতে পারি? উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন করে দেশটি ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ এবং র্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে এবং বর্তমান সরকার যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করছে।
জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, প্রশ্নের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং এখানে ব্রিফিং রুমেও আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আপনি যেমনটা জানেন এবং আপনার প্রশ্নেও উল্লেখ করেছেন– ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল (আজিজ) আহমেদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত মে মাসে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেটিকে পুনঃনিশ্চিত করছে এবং দুর্নীতি রোধে বাংলাদেশে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোকে সমর্থন করে পেন্টাগন।
তিনি আরও বলেন, আমি এই বলে শেষ করতে চাই– বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। অবাধ এবং মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সামুদ্রিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলোতে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মুল্যবোধের ভিত্তিতে সেখানে অংশীদারিত্ব বিরাজমান রয়েছে।