বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের মাত্র ২১৫মিটার রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ

Daily Ajker Sylhet

admin

০৪ জুলা ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ণ


বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের মাত্র ২১৫মিটার রাস্তা যেন মরণ ফাঁদ

স্টাফ রিপোর্টার:
বুধবার দুপুর। বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের বেজগ্রাম-তিলপাড়া এলাকা। সরকারি হিসেবে দূরত্ব মাত্র ২১৫ মিটার। এই অংশে আটকে যাওয়া যানবাহনগুলো টেলে নিয়ে যাচ্ছেন পরিবহণ শ্রমিক ও যাত্রীরা। সড়কে পানি আটকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাই দেখা যাচ্ছে না। কোথায় গর্ত আর কোন অংশে ভালো। ডুবন্ত রাস্তায় ছোট যানবাহন সিএনজি, প্রাইভেটকার, রিকশা-ভ্যান চলতে হিমশিম খাচ্ছে। এ সময় দেখা যায়, সড়কের মাঝে পানির মধ্যে একটি মিনি ট্রাক গর্তে আটকে গেছে। পেছনে বেশ কয়েকজন ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ট্রাকটিকে।

অপরদিকে পেছনের গাড়ি থেকে দেয়া হচ্ছে গালিগালাজ। কেন সিএনজি চলছে না। শেষে আরেকটি সিএনজির চালক এসে তার সিএনজিটিকে গর্ত থেকে তুলে পাশে সরিয়ে নেয়। এ সিএনজি চালক বলেন, এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করা আর নিজেকে বলি দেয়া সমান। আর বৃষ্টি হলে তো মরণ। এমন গর্তে পড়ে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। সিএনজির নানা সমস্যা হয়। মেরামতের জন্য মালিককে ক্ষতিপূরণও দিতে হয়। গতকালের এ চিত্র যেন সড়কের প্রতিদিনের রূপ।

গতকাল সরজমিন দেখা যায়, বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের বেজগ্রাম-তিলপাড়া অংশে ভূক্তভোগী মানুষ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্তাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। অতি বিরক্ত কেউ আবার অশ্লীল গালিগালাজ করছে। প্রায় চার বছর থেকে এই অংশের এমন বেহাল অবস্থায় যাত্রী সাধারণের বিরক্তির আশা নেই। সড়কের এই অংশের উপরে রয়েছে অনেক গর্ত। যেগুলো বৃষ্টির পানি জমলে আর দেখা যায় না।

এ পথ পাড়ি দিয়ে কিভাবে যাতায়াত করেন জানতে চাইলে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাঈদ আহমদ বলেন, এ বছর আমার তৃতীয় বর্ষ চলছে। গত চার বছর ধরে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে কি যন্ত্রণাটাই না পোহাতে হয়েছে। এ সড়ক ধরে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ এবং এলাকাবাসীর কবে নাগাদ মুক্তি মিলবে তার কোনো হিসেব নেই।

বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়, সিলেটের টাওয়ার এন্টার প্রাইজ এই অংশের সংস্কারের জন্য নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। সুব্রত এবং তোফায়েল ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের সত্ত্বাধিকারী। তাদের দফায়-দফায় তাগিদ দেয়ার পরও তারা কাজ করছেনা। এই অংশের সংস্কারের জন্য ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী দিপক চন্দ্র নাথ জানান, বৃষ্টি একটু কমলে কাজ শুরু করা হবে। এখন আর কোন ছাড় দেয়া হবেনা।

Sharing is caring!