কী ঘটেছিলো সিলেটের সেই ৪ কিশোরের সঙ্গে?
১০ জুলা ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সিলেটের চার কিশোরকে ভারতে পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ কৌশলে তাদের উদ্ধার করেছে। চাপে পড়ে পাচারকারী কিশোরদেরকে ফেরত দিয়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) শিশুদেরকে ফেরত পাওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছে তাদের পরিবার।
পাচারের শিকার ৪ কিশোর হলো- গোয়াইনঘাট উপজেলার উত্তর প্রতাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রাজু মিয়া (১৯) ও সাজু মিয়া (১৬), দেলোয়ার হোসেনের ভাতিজা জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ইমন মিয়া (১৭) এবং স্ত্রীর বোনের ছেলে জৈন্তাপুর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে সৌরভ মিয়া (১৭)। তাদেরকে ফিরে পেলেও পাচারকারী একই উপজেলার হাতিরখাল গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে সাহাব উদ্দিন পলাতক।
দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী রহিমা বেগম জানান, গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে তার দুই ছেলে, তার বোনের এক ছেলে ও স্বামীর ভাইয়ের এক ছেলেকে নিয়ে যায় সাহাব উদ্দিন। এরপর থেকে এ চারজনের সাথে তারা কোনো যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে তারা জানতে পারেন সাহাব উদ্দিন ওই চারজনকে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় পাচার করে দিয়েছে। সেখানে তাদেরকে দিয়ে দিনমজুরের কাজ করাচ্ছে। এই তথ্য পাওয়ার পর তারা সাহাব উদ্দিনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলেও সে পাচারের ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দেননি। পরে বিষয়টি মৌখিকভাবে গোয়াইনঘাট থানার ওসিকে অবগত করেন ৪ কিশোরের পরিবারের সদস্যরা। পরবর্তীতে পুলিশ সাহাব উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে চাপ দিলে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে চার শিশুকে ফেরত পাঠায় সে।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকায় গার্মেন্টসে কাজ দেওয়ার কথা বলে চার শিশুকে ভারতে পাচারের মৌখিক অভিযোগ করেছিল তাদের পরিবার। এরপর পুলিশ নানা কৌশলে শিশুদেরকে ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছে। সাহাব উদ্দিন এলাকায় টাউট শ্রেণির লোক হিসেবে পরিচিত। তবে শিশুদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।