ঢাবিতে তোফাজ্জল হত্যার দায় স্বীকার করা ৬ জনই ছাত্রলীগ কর্মী
২১ সেপ্টে ২০২৪, ০৬:২৩ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন। একসময় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে প্রেমঘটিত কারণে মানসিক ভারসাম্য হারান এই সাবেক ছাত্রনেতা।
গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ফজলুল হক মুসলিম হলে মোবাইল চোর সন্দেহে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। হত্যার আগে তাকে খাবার খাওয়ানো এবং পরে নির্মমভাবে হত্যার কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরবর্তীতে নৃশংস এই হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি নিয়ে রাজপথে নামে বেশকিছু সংগঠন।
এ ঘটনা তদন্তে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি হত্যার সঙ্গে আটজনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে, যার মধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ৬ অভিযুক্ত ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন- জালাল আহমেদ, মোহাম্মদ সুমন, মোহাম্মদ মোত্তাকিন সাকিন, আল হোসাইন সাজ্জাদ, আহসানউল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম।
ঢাকার কোর্ট ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান এ সময় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অভিযুক্তরা সইবাই ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে জালাল আহমেদ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং অন্য পাঁচজন তার অনুসারী।’
জবানবন্দি নেওয়ার পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
আটকদের মধ্যে জালাল মিয়া ফজলুল হক মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপসম্পাদক ছিলেন। এ সময় তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের রাজনীতি করতেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের চলাকালে তিনি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে বেশ সক্রিয় হন বলে জানা যায়।
আরেক অভিযুক্ত আল হোসাইন সাজ্জাদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক।
জানা গেছে, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত ছিলেন সাজ্জাদ।
এদিকে আহসান উল্লাহ্ ছিলেন ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন উপসম্পাদক। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত তিনি।