ফ্রান্সের চারটি শহরে চালু হলো আশ্রয় আদালত
০৭ নভে ২০২৪, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ
নিউজ ডেস্ক:
ফ্রান্সের জাতীয় আশ্রয় আদালত (সিএনডিএ) প্রথমবারের মতো রাজধানী প্যারিসের বাইরে চারটি শহরে শাখা চালু করেছে৷ চলতি মাসে এসব আদালতে আশ্রয় আবেদনের শুনানি শুরুর কথা রয়েছে৷
সোমবার (৪ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শাখা খোলার কথা জানিয়েছে ফ্রান্সের জাতীয় আশ্রয় আদালত (সিএনডিএ)৷
শরণার্থী ও রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের সুরক্ষায় নির্ধারিত ফরাসি দপ্তর (অফপ্রা) কোন আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন প্রত্যাখান করলে তাকে সিএনডিএ-তে আপিল করতে হয়৷
এছাড়া শুনানিতে অংশ নিতে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে থাকা আপিলকারী আশ্রয়প্রার্থীদেরও বৃহত্তর প্যারিস অঞ্চলের মন্ত্রই এলাকার আশ্রয় আদালতের সদর দপ্তরে আসতে হতো৷
চলতি বছরের জানুয়ারিতে পাস হওয়া ফরাসি অভিবাসন বিলে বলা হয়েছিল আশ্রয় আদালতের কাজের গতি বাড়াতে এবং ব্যাকলগ বা জমে থাকা আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে প্যারিসের বাইরে বিভিন্ন বড় শহরে শাখা খোলা হবে৷
তারই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক অবস্থায় ফ্রান্সের বোর্দো, লিও, নন্সি এবং তুলুজ শহরে সিএনডিএ-এর চারটি শাখা খোলা হয়েছে৷ চলতি মাসে এসব শাখায় অফপ্রা থেকে প্রত্যাখাত আশ্রয়প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে৷
ফ্রান্সের নুভেল আকিতেন, অক্সিতানি, উবেরনিও রোন আল্পস, বুরগোন ফ্রঁন্স কোন্তে এবং গ্রন্দ এস্ত রিজিওনের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র এবং নিজ উদ্যোগে বসবাসররত আশ্রয়প্রার্থীরা নতুন চারটি আদালতের শাখার আওতায় থাকবেন৷
সিএনডিএ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানিয়েছে, মন্ত্রই এলাকার সদর দপ্তরের মতো চারটি শাখাতেও প্রত্যেক আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন শোনা হবে এবং তারা একজন আইনজীবী ও দোভাষীর সুবিধা পাবেন৷ বিভিন্ন শহরে থাকা আশ্রয়প্রার্থীদের পক্ষে প্যারিসে আসা কখনও কখনও কষ্টকর এবং ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়৷ এজন্য শাখা আদালত খোলা হয়েছে৷
তবে কোনো আবেদনকারী যদি বিশেষভাবে জটিল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির দেশ থেকে এসে থাকেন অথবা আবেদনকারীর ভাষা বিরল হয়ে থাকলে তার আপিল আবেদনের শুনানি আগের মতো প্যারিসে অনুষ্ঠিত হবে৷
২০২৩ সালের পুরো সময়ে সিএনডিএ ৬৬ হাজারেরও বেশি সিদ্ধান্ত জারি করেছে৷
যদিও ফ্রান্সের নতুন অভিবাসন আইনের ফলে বেশ কিছু আপিল আবেদনের ক্ষেত্রে সিএনডির তিন জন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত কলেজিয়াল চেম্বারে মাত্র একজন বিচারকের অধীনে শুনানি হচ্ছে৷ শাখা আদালতগুলোতেও একই পরিস্থিতি ঘটবে৷
অধিকারকর্মীরা এবং আইনজীবীরা অবশ্য মাত্র একজন বিচারকের অধীনে শুনানির তীব্র বিরোধিতা করেছেন৷ তাদের মত, এতে করে আশ্রয়প্রার্থীরা ঝুঁকিতে পড়ছেন৷ এটি পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করে না৷
সিএনডিএ তে কর্মরত এজেন্টরা গত বছর এবং চলতি বছর বেশ কয়েকবার ধর্মঘটে গিয়ে একক বিচারক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোল করেছেন৷
আদালতে সক্রিয় ইউনিয়ন কর্মী সেবাস্তিয়া তুলের ইনফোমাইগ্রেন্টসকে বলেন, ‘‘একক বিচারকের ব্যবস্থাটি আপিল আবেদনের বিতর্ক, আলোচনা এবং সিদ্ধান্তের গুণগত মানকে প্রভাবিত করার উপর প্রভাব ফেলে৷ এটি আবেদনকারীদের অধিকারের উপর একটি গুরুতর আক্রমণ৷’’