আদরের ছলে প্রেমিকের চোখ বেঁধে বিশেষ অঙ্গ কাটলেন তরুণী!
০৮ ডিসে ২০২৪, ০৫:৪৮ অপরাহ্ণ
অনলাইন ডেস্ক:
বেশ কিছু দিনের সম্পর্ক। সব কিছুই ভালোই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ কোনো একটি বিষয় নিয়ে প্রেমিক এবং প্রেমিকার মধ্যে অশান্তি শুরু হয়েছিল। সেই রাগে ছলে-বলে প্রেমিকের বিশেষ অঙ্গ কেটে দিয়েছেন তরুণী।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকায়। পরে গুরুতর অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। অন্যদিকে, খুনের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তরুণী। সব মিলিয়ে এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের সূত্রে জানা যায়, জখম যুবকের নাম আব্দুর রহমান। অভিযুক্তের নাম সুমাইয়া খাতুন। এই যুগলের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। দুই বাড়ির লোকজনই সম্পর্কের কথা জানত। কিন্তু সম্প্রতি দু’জনের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। তার মধ্যেই শুক্রবারের ওই ঘটনা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শুক্রবার রাতে প্রেমিককে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান ওই তরুণী। সেই মতো হাজিরও হন আব্দুর। দু’জনে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। গল্প করতে করতে আব্দুরকে বাড়ির কাছে বাগানে নিয়ে যান সুমাইয়া। সেখানে খুনসুটি করে একটি গাছে প্রেমিকের হাত-পা বাঁধেন। চোখও বেঁধে দেন। তারপর ধারালো অস্ত্র বের করে প্রেমিকের গোপনাঙ্গে কোপ বসান তরুণী।
যুবকের চিৎকার-চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন জড়ো হন। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে দেখে চমকে যান তারা। অন্যদিকে, তরুণী স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনিই কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা সুমাইয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সুমাইয়া জানিয়েছেন, তাকে ব্ল্যাকমেইল করতেন প্রেমিক। তাই তাকে জব্দ করতে এই কাণ্ড করেছেন তিনি। যদিও কী নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছিল তাকে সেই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানা যায়নি।
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসিপি (দক্ষিণ) সুরিন্দর সিং আনন্দবাজারকে বলেন, হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্ত প্রেমিকাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এছাড়া চিকিৎসার জন্য ওই যুবককে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, প্রেমিক প্রেমিকাকে ব্ল্যাকমেইল করতেন। কিন্তু কী কারণে ব্ল্যাকমেইল করতেন তা জানতে তদন্ত চলছে।