‘মাঠের বাইরে বল পাঠালেই আগ্রাসী ক্রিকেট হয় না’

Daily Ajker Sylhet

admin

৩০ এপ্রি ২০২৩, ১২:১০ অপরাহ্ণ


‘মাঠের বাইরে বল পাঠালেই আগ্রাসী ক্রিকেট হয় না’

ক্রীড়া প্রতিবেদক :
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে তামিম ইকবালদের কাছ থেকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট চান। তবে শ্রীলংকান কোচ এ-ও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, মাঠের বাইরে বল পাঠানোই আগ্রাসী ক্রিকেট নয়।

শনিবার সিলেটে বাংলাদেশ দলের তিনদিনের ক্যাম্পের শেষদিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি আক্রমণাত্মক ক্রিকেট নিয়ে সবার ভুল ধারণা ভেঙে দেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ফিরতি ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আজ ও আগামীকাল দুই ভাগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ইংল্যান্ডে উড়াল দেবে।

হাথুরু বলেন, ‘আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার মানসিকতা সব সময় থাকবে আমাদের। এর মানে এই নয় যে, বল মাঠের বাইরে পাঠাতে হবে। আগ্রাসী ক্রিকেট হলো, ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলা। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও আগ্রাসী থাকা, সেটা হোক দল বাছাই কিংবা ফিল্ড প্লেসিং কিংবা কী ধরনের বোলিং করা হবে।
আমরা ছেলেদেরকে এই স্বাধীনতা দিতে চাই, যেন তারা মাঠে নিজেদের মেলে ধরতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘কীভাবে শুরু করতে হবে, এর অনুশীলন করা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা চাই কোন পরিস্থিতিতে কেমন খেলতে হবে সে বিষয়ে সবার মাথা পরিষ্কার থাকুক।’

প্রধান কোচ বলেন, ‘ওপেনারদের প্রথম ১০ ওভার ব্যাট করতে হবে, কীভাবে শুরু করতে হবে এবং ফিল্ডিং সীমাবদ্ধতার (৩০ গজের মধ্যে ফিল্ডার রাখার বাধ্যবাধকতা) সর্বোচ্চ ব্যবহার কীভাবে করতে হবে, এ নিয়েও ভাবতে হবে।
ইনিংসের মাঝে ব্যাট করলে পরিস্থিতি অন্যরকম থাকবে। কখনো চারজন বা পাঁচজন আউট হওয়ার পর আসতে হবে ব্যাটিংয়ে।’

সিলেটে তিনদিনের ক্যাম্প নিয়ে হাথুরু বলেন, ‘কন্ডিশন নিয়ে খুশি। আমাদের চাওয়া মতো উইকেট তৈরি করতে কঠোর পরিশ্রম করা হয়েছে। আমাদের খুবই ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। ছেলেদের এনার্জি, মনোযোগ খুব ভালো ছিল, আমি খুশি।’ তিনি বলেন, ‘এই ক্যাম্পে কারও সঙ্গেই বাড়তি কিছু করিনি।
আমি শুধু মাঝে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত করেছি যে, সেশনটা যেন ভালোভাবে শেষ হয়। নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে চিন্তিত নই। পুরো দল নিয়েই ভাবছি যে, কীভাবে ভালো করতে পারি। তামিম খুব ভালো ব্যাটিং করছে। ক্যাম্পে যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তাতে আমি খুশি।’

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে আজ রাত ১টা ৪০ মিনিটে এবং আগামীকাল দুই ভাগে ভাগ হয়ে ক্রিকেটাররা ইংল্যান্ড যাবেন। আইরিশদের বিপক্ষে তিনটি ম্যাচই হবে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে।

 

Sharing is caring!