ঘরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, শ্যালিকা নিয়ে উধাও দুলাভাই

Daily Ajker Sylhet

admin

০৪ মে ২০২৩, ০৭:৫৬ অপরাহ্ণ


ঘরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, শ্যালিকা নিয়ে উধাও দুলাভাই

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে বিয়ের ৭ মাসের মাথায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে রেখে শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়েছে দুলাভাই হরুফ আলী (২৮)। এদিকে গর্ভে ধারণকৃত ৫ মাসের সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে বড় বোন সুজিনা বেগম।

হরুফ আলী দোয়ারাবাজারে বাংলাবাজার ইউনিয়নের পূর্ব ঘিলাতলি গ্রামের রিয়ান উল্লাহর ছেলে।

এ ঘটনায় তার ছোট বোন রোকিয়া বেগম নিখোঁজ উল্লেখ করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের আগুন্ডের গাঁও গ্রামে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মাস পূর্বে ওই গ্রামের ফয়জুল হকের মেয়ে সুজিনা বেগমকে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের পূর্ব ঘিলাতলি গ্রামের রিয়ান উল্লাহর ছেলে হরুফ আলী (২৮)।

গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্ত্রীকে নিজ বাড়িতে রেখে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যান হরুফ আলী। এ সময় ঈদের মার্কেট করার কথা বলে শ্যালি রোকিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায় দুলাভাই হরুফ আলী।

এদিকে পিতা ফয়জুল হকের মেয়ে রোকিয়া বেগম নিখোঁজ উল্লেখ করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

সুত্র জানায়, গত বছর শ্বশুর ফয়জুল হকের স্ত্রী (শ্বাশুড়ি) কে ধর্মের মা ডাকার সুবাদে প্রায়ই তাদের বাড়িতে আনাগোনা করত হরুফ আলী। এক পর্যায়ে সুজিনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। পরে গত বছরের অক্টোবর মাসে সুজিনাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করে হরুফ আলী। পরবর্তীতে সুজিনা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়। পরে বিয়ের ৭ মাসের মাথায় শ্যালিকা রোকিয়াকে নিয়েও পালিয়ে যায় হরুফ আলী। একসাথে দুই বোনকে নিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।

এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা হরুফ আলীর বাড়িতে উপস্থিত হলো তার দরজায় তালা ঝুলানো দেখতে পান।

গ্রামের লোকজন জানান, হরুফ আলী একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক। এর আগেও এভাবে একাধিক ঘটনা করেছে সে। সম্ভ্রমহানির ভয়ে এলাকার মেয়েরা রাস্তায় একা বের হতে সাহস পায়না।

স্থানীয়রা জানান, সুজিনাকে বিয়ের আগে হরুফ আলী পার্শ্ববর্তী জাহাঙ্গীর গাঁওয়ের আরেক মেয়েকেও বিয়ে করেছিল। তার গর্ভের দুটি ছেলে ও স্ত্রীকে রেখে পালিয়ে গিয়ে সুজিনাকে বিয়ে করে। প্রথম স্ত্রীর সাথে হরুফ আলীর মামলা এখনো চলমান রয়েছে।

সুজিনা ও রোকেয়ার পিতা ফয়জুল হক বলেন, আমি ভিক্ষা করে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৪ ছেলে ও ২ মেয়েকে নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

সুজিনা বেগম বলেন, আমার ৫ মাসের গর্ভজাত সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমি এর সুষ্টু বিচার চাই।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেন, মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হরুফ আলীকে পুলিশ হন্য হয়ে খুঁজছে। গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Sharing is caring!