জকিগঞ্জ-কানাইঘাটকে মডেল ও স্মার্ট অঞ্চল হিসাবে রূপান্তরের জন্য স্মারকলিপি প্রদান
১৭ মে ২০২৩, ০৪:৫৮ অপরাহ্ণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
জকিগঞ্জ-কানাইঘাটকে একটি মডেল ও স্মার্ট অঞ্চল হিসাবে রূপান্তরের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে সিলেট জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বুধবার (১৭ মে) দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন কাছে এই স্মারক লিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, জকিগঞ্জ-কানাঘাট উন্নয়ন ফোরামের আহ্বায়ক এডভোকেট এম এ সালেহ চৌধুরী, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন ফোরাম এর সহ সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা কাজী নুরুল ইসলাম, সহ সভাপতি আজমল আলী, জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উন্নয়ন ফোরামের সদস্য সচিব আজাদুর রহমান, এডভোকেট কবির আহমদ, এডভোকেট সায়েম খান, লিয়াকত আলী খান, শিক্ষানবিশ আইনজীবী তাহমিনা আক্তার, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
স্মারক লিপিতে উল্লেখ্য করেন- জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের সর্বস্থরের মানুষের প্রাণের দাবি মডেল ও স্মার্ট জকিগঞ্জ-কানাইঘাট গড়তে, জকিগঞ্জে ইকোনমিক জোন বাস্তবায়ন, জকিগঞ্জের গ্যাস ফিল্ড চালু, জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের সকল রাস্তায় বিআরটিসি বাস চালু, জকিগঞ্জ সরকারি কলেজে অনার্স চালু সহ জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা বাস্তবায়ন, কানাইঘাটের লোভাছড়া পাথর কোয়ারি চালু এমনকি লোভাছড়াকে একটি পর্যটন অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা চাই, জকিগঞ্জ টু করিমগঞ্জ ভারত মৈত্রী সেতু বাস্তাবায়ন, জকিগঞ্জের সড়ক চারলেন ও রেল লাইন চালু, জকিগঞ্জ-কানাইঘাটে কৃষিখাতে ব্যাপক বরাদ্দ সহ সকল কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষি খ্যাতে উন্নয়ন, জকিগঞ্জ কানাইঘাটে দুটি পৃথক স্টেডিয়াম স্থাপনের মাধ্যমে ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন হওয়া একান্ত আবশ্যক।
উক্ত দাবি বাস্তবায়ন হলে জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের প্রায় ১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। জকিগঞ্জ-কানাইঘাট গ্রামাঞ্চল সরকারের প্রনীত নীতি অনুযায়ী শহরে রূপান্তরিত হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা আমুল পরিবর্তন আসবে। জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের লোকজন সু-শিক্ষিত হয়ে এলাকায় শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাবে। এমনকি ভারতমৈত্রি সেতুন বাস্তবায়ন হলে উক্ত সেতুর মাধ্যমে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী ভারতের পাহাড়ী অঞ্চলে রপ্তানীর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ব্যাপক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করবে এবং অত্র এলাকাটি একটি শিল্পাঞ্চল হিসেবে রূপ নেবে। আমদানী রপ্তানীর অন্যতম তীর্থস্থান হিসেবে সু-খ্যাতি অর্জন করবে। জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের অনাবাদি কৃষিজমি কাজে লাগিয়ে কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বি করে তোলা সম্ভব হবে। এমনকি স্টেডিয়াম নির্মাণের মাধ্যমে যুবসমাজকে খেলাধুলায় সংযুক্ত করে মাদকাশক্তির ছুবল থেকে রক্ষা করে সকল যুবক ও শিক্ষার্থীদের একটি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত লোকজনে রূপান্তরিত করে দেশের অর্থনীতিকে সচল করতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে।