Beanibazarer Alo

  সিলেট     শুক্রবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

admin

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৩ | ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ | ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ আজ

Manual4 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা জড়িত। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপির এক নেতা স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন।

Manual2 Ad Code

আজ সোমবার সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক সভা শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, পরদিন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এই সভা হয়।

Manual1 Ad Code

পঞ্চগড়ের ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জামায়াতের কর্মী ও বিএনপির নেতারা জড়িত হয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানটি (সালানা জলসা) করতে বাধা দেন। একপর্যায়ে তাঁদের বাড়িঘরে আগুন দেন। যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল, সেখানেও আগুন দেওয়া হয়। এতে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের এক সদস্য মারা যান। একজন শিবির নেতা, যিনি সেখানে গিয়েছিলেন, তিনিও এই ঘটনায় আহত হন। পরে মারা যান।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, এই ঘটনায় সাতটি মামলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে বিএনপির নেতা ফজলে রাব্বী আছেন। তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, তাঁরা অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য এসেছিলেন। ঘটনার নেপথ্যে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।

Manual6 Ad Code

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ফুলতলা এলাকায় পুড়ে যাওয়া ঘরবাড়ি ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। গতকাল রোববার দুপুরে তোলা

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে ঘটনাটি মোকাবিলা করেছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এখন মামলা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পুলিশের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটিও করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো গাফিলতি থাকলে তা অবশ্যই দেখা হবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত শুক্রবার পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, হামলা, অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হন। এ ছাড়া পুলিশ-সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন।

এদিকে, গতকাল কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১১) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, তদন্তে যদি কোনো নাশকতা, যড়যন্ত্র বা অন্য কোনো ইঙ্গিত থাকে, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Manual5 Ad Code

রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে এই অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে। এর ফলে প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গা গৃহহারা হয়েছে।

শেয়ার করুন