তিন দিনের মধ্যে গাজায় শেষ হয়ে যাবে জ্বালানি

Daily Ajker Sylhet

admin

২৪ অক্টো ২০২৩, ১২:১০ অপরাহ্ণ


তিন দিনের মধ্যে গাজায় শেষ হয়ে যাবে জ্বালানি

স্টাফ রিপোর্টার:
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় বিধ্বস্ত গাজা এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। চারদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপের মধ্যে লাশ আর লাশ পাওয়া যাচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে মৃত্যুর মিছিল ততই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। বর্বর এই হামলায় শিশু থেকে শুরু করে নারীরাও রক্ষা পাচ্ছে না। গোটা গাজাকে এখন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার সব চেষ্টাই বাস্তবায়ন করতে উন্মত্ত হয়ে পড়েছে তেল আবিব। এই অবস্থায় উপত্যকাটিতে আর মাত্র তিন দিনের জ্বালানি অবশিষ্ট আছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা আনরোয়া।

রবিবার এক বিবৃতিতে ইউনাইটেড নেশনস রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট (আনরোয়া) এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ও জাতিসংঘের কমিশনার জেনারেল ফিলিপ ল্যাজারিনি স্বাক্ষরিত সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আর মাত্র তিন দিনের মধ্যে গাজা উপত্যকার জ্বালানির মজুত শেষ হয়ে যাবে। যদি জ্বালানি শেষ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে উপত্যকায় বিদ্যুৎ থাকবে না, পানি থাকবে না, হাসপাতাল এবং রুটির দোকানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, উপদ্রুত এলাকাগুলোতে ত্রাণও পৌঁছাতে পারবে না।’ গত ৭ তারিখ ইসরায়েল ও গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলার জেরে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছিল মিশর। গাজার ‘লাইফ লাইন’ বলে পরিচিত এই সীমান্তপথ দিয়েই সেখানে প্রবেশ করত জাতিসংঘ ও অন্যান্য বৈশ্বিক সংস্থা ও দাতা দেশগুলোর ত্রাণ ও সহায়তা।

দুই সপ্তাহ বন্ধ রাখার পর গত ২১ অক্টোবর রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ঐ ক্রসিং দিয়ে ২০টি ত্রাণপণ্যবাহী ট্রাকও প্রবেশ করেছে। এসব ত্রাণের মধ্যে খাদ্য, পানি, ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী থাকলেও জ্বালানি ছিল না। ল্যাজারিনি জানান, ইসরায়েলের বিমান বাহিনী গাজায় অভিযান শুরুর পর গত ১৬ দিনে ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে এবং প্রতিদিনই বাড়ছে এই সংখ্যা।

বিবৃতিতে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতি মুহূর্তে অবনতি ঘটছে গাজা উপত্যকার। আমি এই যুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অনুরোধ করছি, শিগিগরই উপত্যকায় জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত করুন। যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে সামনে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখতে হবে আমাদের।’

গত ৭ অক্টোবর হামাসের অতর্কিতে হামলার পর প্রতিশোধ নিতে ঐ দিন থেকেই গাজায় তীব্র বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০র বেশি মানুষ নিহত হয়, যা দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন। হামাস ঐ দিন ইসরায়েল থেকে আরো ২০০’র বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে যায়। জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলি ছাড়াও অন্যান্য দেশের নাগরিকও রয়েছে।

ইসরায়েল বিমান হামলা শুরু করলে গাজার লাখ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে ইউএনআরডব্লিউএর নানান প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়। ইসরায়েলের হামলায় গাজায় সর্বশেষ ৪ হাজার ৬৫১ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

Sharing is caring!