ঈদ উদ্যাপন: ফিরে আসুক কর্মচাঞ্চল্য

Daily Ajker Sylhet

admin

২৫ এপ্রি ২০২৩, ১২:৩১ অপরাহ্ণ


ঈদ উদ্যাপন: ফিরে আসুক কর্মচাঞ্চল্য

সম্পাদকীয় :
দেশবাসী এবার মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে। ঈদ উপলক্ষ্যে এক কোটির উপর সিমকার্ড ব্যবহারকারী রাজধানী ছেড়েছেন-এ তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। স্বস্তির বিষয় হলো, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া এবার বড় ধরনের কোনো অঘটনের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কম বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। এবার ঈদে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি প্রদান ছিল একটি আলোচিত ঘটনা; সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী যেটিকে ‘প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার’ হিসাবে অভিহিত করেছেন। ঈদে নৌপথে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও কক্সবাজারের নাজিরা পয়েন্টে সাগরে নিখোঁজ হওয়া একটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১০টি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট।

টানা কয়েকদিন তাপপ্রবাহের পর ঈদের দিন সারা দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বেশ জোরেশোরে প্রচার করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। রাজধানীবাসী স্বস্তির সেই বৃষ্টির দেখা পেয়েছে ঈদের দিন বিকালে। ঈদের সময় টাকার প্রবাহ বৃদ্ধি পায় অনেক। খাদ্যপণ্য, পোশাক, বিনোদন ও পরিবহণ খাতে ব্যয় হওয়া এসব অর্থের জোগানদাতাদের মধ্যে রয়েছেন প্রবাসী, সরকারি চাকরিজীবী, দোকান কর্মচারী, পোশাক ও বস্ত্র খাতের শ্রমিকসহ বিভিন্ন ধরনের শ্রমজীবী। বলার অপেক্ষা রাখে না, ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতবদল হয়েছে। এতে কিছু সময়ের জন্য চাঙ্গা হয়ে উঠেছে দেশের অর্থনীতি, যা ঈদ উৎসবের একটি ইতিবাচক দিক।

গতকাল সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত খুলে যাওয়ায় ঈদের ছুটি শেষে মানুষ রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা হয়তো আরও কয়েকদিন পর ফিরবে। মোট কথা, যারা ঈদ উদযাপন করতে নাড়ির টানে গ্রামে গিয়েছিল, তারা ফিরতে শুরু করলেও রাজধানী কর্মচঞ্চল হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।

ঈদের ছুটিতে রাজধানী ফাঁকা থাকলেও গ্রামাঞ্চলে জনজীবন হয়ে উঠেছিল উৎসবমুখর। গ্রাম, মফস্বল, শহর-সর্বত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে আনন্দ-উৎসাহের মধ্য দিয়ে। ঈদ সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের বার্তা নিয়ে এলেও আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে এর কোনো প্রতিফলন আমরা লক্ষ করছি না; বরং ঈদের পর ফের ‘মাঠ’ দখলের প্রস্তুতির কথা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, রাজনীতিকরা যদি দল ও মতভিন্নতা ভুলে পরস্পরের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করতে পারতেন, তাহলে সেটা হতো জাতির জন্য আনন্দ ও স্বস্তির সংবাদ।

 

Sharing is caring!