Beanibazarer Alo

  সিলেট     মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুড়ারবাজারে হোল্ডিং প্লেইটের কয়েক লাখ টাকা নিয়ে হাওয়া একটি বেসরকারি সংস্থা

admin

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৩ | ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৩ | ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
কুড়ারবাজারে হোল্ডিং প্লেইটের কয়েক লাখ টাকা নিয়ে হাওয়া একটি বেসরকারি সংস্থা

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজারের কুড়ার বাজার ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে হোল্ডিং প্লেইট বিতরণের নামে কয়েক লাখ টাকা নিয়ে হাওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা।

এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় সাধারণ ডায়রী করেছে ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ। তবে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের কয়েক লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যাওয়া সেই বেসরকারি সংস্থার এখনো হদিস মেলেনি। তাদের খুঁজে বের করতে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদ-কোন প্রতিষ্টানই আগ্রহ দেখাচ্ছেনা।

জানা যায়, উপজেলার কুড়ার বাজার ইউনিয়ন পরিষদের প্রায় ৫ হাজার খানায় (পরিবার) হোল্ডিং নাম্বার সম্বলিত প্লেইট বিতরনের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সাথে চুক্তি করেন ইউপি চেয়ারম্যান তুতিউর রহমান তোতা। তবে ওই প্রতিষ্টানের কোন ট্রেড লাইসেন্স নেই। কেবল ব্যক্তির নামে কার্যাদেশ সম্পন্ন করার জন্য চেয়ারম্যান তুতিউর ওই চুক্তি সম্পাদন করেন। এতে ইউনিয়ন পরিষদে কোন রেজুলেশনও নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। চুক্তি সম্পাদনের পর ওই প্রতিষ্টানের সাথে সংশ্লিষ্টরা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকাধীন বিভিন্ন বাসা-বাড়ি (খানা) থেকে নির্ধারিত ফি’ আদায় শুরু করেন। প্রায় দুই হাজার বাসা-বাড়ি থেকে হোল্ডিং প্লেইট বিতরণের কথা বলে ফি’ আদায় করে পালিয়ে যান তারা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে চেয়ারম্যান তুতিউর রহমান তোতা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। ওইদিন বিয়ানীবাজার থানায় সাধারণ ডায়রীও করা হয়।

 

Manual2 Ad Code

কুড়ার বাজার ইউপি চেয়ারম্যান তুতিউর রহমান তোতা জানান, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই প্রতিষ্টানকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। কারন হোল্ডিং প্লেইটের এই কাজটি তারা পেতে চেয়েছিলেন। তার দাবী, ইউনিয়ন এলাকার প্রায় ১৩শ’ পরিবারের কাছ থেকে ওই প্রতিষ্টান ফি’ আদায় করে। এমন ফি’ আদায় বৈধ কি-না, তা জানাতে পারেননি তিনি। তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশন ছাড়া কোন প্রতিষ্টানের সাথে এমন চুক্তির আইনগত বৈধতার বিষয়েও কিছু বলতে পারেননি চেয়ারম্যান।

 

ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কল্যান কান্তি কর বলেন, বিষয়টি চেয়ারম্যান সাহেব নিজের মত করেছেন, তাই আমাদের তেমন কিছু জানা নেই।

Manual4 Ad Code

 

ইউনিয়নের হিসাব নিয়ন্ত্রক সঞ্জয় মালাকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, চুক্তি শেষে চেয়ারম্যান সাহেব আমার কাছে ফাইলটি রাখতে বলেছেন, এছাড়া তার আর কিছু জানা নেই।

Manual5 Ad Code

 

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা তাসলিম জানান, রেজুলেশন নেয়া হয়েছে কিনা, তা জানা নেই। চেয়ারম্যান বিষয়টি তাকে অবহিত করলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে উপজেলা প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে কোন তদন্ত কমিটি করা হয়নি বলেও জানান তিনি।

 

Manual3 Ad Code

শেয়ার করুন