Beanibazarer Alo

  সিলেট     বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্যাস নিয়ে সিলেটে আরও সুখবর

admin

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৩ | ০২:১২ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ | ০২:১২ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
গ্যাস নিয়ে সিলেটে আরও সুখবর

Manual3 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
চলতি বছরেই সিলেটের ৪টি কূপ হতে দৈনিক ৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০২৫ সালের মধ্যে বাপেক্সে ২০টি, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ১২টি এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি ১৪টি কূপ খনন, পুনর্খনন ও উন্নয়নের মাধ্যমে দৈনিক ৬১ কোটি ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে।

Manual7 Ad Code

সিলেটের ১০ নম্বর কূপ হতে দৈনিক এক কোটি ঘনফুট গ্যাস, কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপ থেকে ২ কোটি ঘনফুট, কৈলাশটিলা ২ নম্বর কূপ থেকে এক কোটি ও রশিদপুর ৯ নম্বর কূপ থেকে এক কোটি ঘনফুট সব মিলিয়ে সব মিলিয়ে দৈনিক ৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহের ব্যাপারে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

এসজিএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মিজানুর রহমান জানান, ২০২৩ সালে কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপ থেকে ২১ মিলিয়ন, সিলেট ১০ নম্বর কূপ থেকে ১০ মিলিয়ন, কৈলাশটিলা ২ থেকে আমরা ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ও রশিদপুর ৯ নম্বর কূপ থেকে ১৫ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদনের টার্গেট রয়েছে। এ ছাড়া ২০১৮ ও ২০২১ সালে স্থাপিত এসজিএফএলের অত্যাধুনিক রশিদপুর ফ্রেকশিনেশন প্ল্যান্টে বিভিন্ন সিলেট গ্যাস ফিল্ডের বিভিন্ন কূপ থেকে উপজাত হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার লিটার কনডেনসেট। আর বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র থেকে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ লিটার কনডেনসেট পরিশোধন করে অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল ও এলপিজি বাজারজাত করছে।

তিনি আর জানান, গত বছরের ১০ নভেম্বর থেকে বিয়ানীবাজার-১ নম্বর কূপ গ্যাস থেকে দৈনিক ৮০ লাখ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া নিজস্ব উৎপাদনে প্রতিদিন ৭০০ ব্যারেল আর ৩৫০০ ব্যারেল বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া রশিদপুরে এসজিএফএলের ৪ হাজার ব্যারেল একটা প্লান্ট আছে।

Manual8 Ad Code

এসজিএফএল সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষ দিকে আবারও তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।

এরপর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুত পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ওই কূপে নতুন করে পুনর্খনন কাজ (ওয়ার্ক ওভার) শুরু হয় এবং ১০ নভেম্বর থেকে গ্যাসের চাপ পরীক্ষা শেষে কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়।

Manual3 Ad Code

 

Manual7 Ad Code

শেয়ার করুন