Beanibazarer Alo

  সিলেট     মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ানীবাজারে পৌনে ২শ’ বৈধ অস্ত্র মালিকদের কর-ফাইল যাচাইয়ে চিঠি

admin

প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪ | ০৮:০৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২২ মে ২০২৪ | ০৮:০৬ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
বিয়ানীবাজারে পৌনে ২শ’ বৈধ অস্ত্র মালিকদের কর-ফাইল যাচাইয়ে চিঠি

Manual3 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজারে ব্যক্তিগত সুরক্ষায় সামাজিকভাবে প্রভাবশালীরা বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে থাকেন। বর্তমানে উপজেলায় বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ১৬১টি। ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশীরভাগ প্রবাসী। অন্যান্য পেশা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে যেসব অস্ত্র রয়েছে তার সংখ্যা অতি নগণ্য।

জানা যায়, বিয়ানীবাজারে লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। বৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়লেও সেভাবে মিলছে না কর। তাদের অনেকেরই আয়কর ফাইলে দেখানো আয় ও সম্পদের হিসাবে গরমিল দেখা যায়। বিভিন্ন কৌশলে বড় অঙ্কের কর ফাঁকি দিচ্ছেন অনেকে। এমন বেশকিছু অভিযোগ নিয়ে মাঠে নেমেছেন রাজস্ব গোয়েন্দারা।

এ বিষয়ে সিলেটের কর কমিশনার সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, পুলিশের বিশেষ বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে বর্তমানে বিয়ানীবাজারে বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ১৬১টি। এর মধ্যে অনেকেই ন্যূনতম কর দিয়ে লাইসেন্স নবায়ন করেন। যেহেতু আয়কর আইন অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্তি ও নবায়নে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক বা পিএসআর যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ কারণে কেবল লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে রিটার্ন দাখিল করছেন অনেকে। এনবিআর তাদের পেশা, আয়ের উৎস, ব্যাংক হিসাব ও সম্পদের বিবরণীসহ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই করবে।

Manual4 Ad Code

জানা যায়, প্রবাসী বাংলাদেশি বা বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিকের ক্ষেত্রে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সের জন্য আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে ধারাবাহিকভাবে সর্বশেষ তিন বছরে প্রতি বছর ন্যূনতম ১২ লাখ টাকা হারে রেমিট্যান্স এবং বিদেশে আয়কর প্রদানের প্রমাণপত্র থাকতে হবে। রেমিট্যান্সকৃত অর্থ শুধু যেসব সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয়েছে, ওই সব ব্যাংকের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। কিন্তু প্রবাসীদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম লঙ্গন হচ্ছে। বিয়ানীবাজার থানায় বৈধ অস্ত্রের বেশীরভাগ মালিক প্রবাসে বসবাস করেন। তাদের অনেকেই বহুবছর থেকে দেশে আসেননি।

Manual3 Ad Code

আবার ব্যক্তিপর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স নিতে হলে ওই ব্যক্তিকে (বাংলাদেশি নাগরিক) ‘ব্যক্তি শ্রেণির’ আয়করদাতা হতে হবে। আবেদনকারীকে আবেদনের পূর্ববর্তী তিন বছর ধারাবাহিকভাবে পিস্তল, রিভলভার, রাইফেলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম তিন লাখ এবং শটগানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম এক লাখ টাকা আয়কর দিতে হবে। আবেদনকারী কর্তৃক পরিশোধিত আয়করের পরিমাণ উল্লেখসহ এনবিআর কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়নপত্র আবেদনের সঙ্গে দাখিল করতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অনেক ব্যক্তি সরকারি নিয়মানুযায়ী কর প্রদান করছেননা। ২০১৬সালের পূর্বকার আইনের দোহাই দিয়ে তারা প্রতিবছর অস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন করছেন। এক্ষেত্রে কর ফাঁকি দিচ্ছেন অনেকেই।

Manual5 Ad Code

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, আয়কর আইন ২০২৩ এবং অর্থ আইন ২০২২-এর বিধান অনুসারে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স গ্রহণ ও বহাল রাখার ক্ষেত্রে লাইসেন্স গ্রহণকারী ব্যক্তি প্রতি বছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করে তার প্রমাণক (পিএসআর) জমার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেজন্য আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সপ্রাপ্তি এবং বহাল রাখার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট লাইসেন্স গ্রহণকারী ব্যক্তির ই-টিআইএন, আয়কর রিটার্ন দাখিল ও দাখিলকৃত আয়কর রিটার্ন মোতাবেক আয়কর পরিশোধ, আয়কর আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে। আগ্নেয়াস্ত্র গ্রহণকারী ব্যক্তি যথানিয়মে আয়কর রিটার্ন দাখিল নিশ্চিতকরণ-সংক্রান্ত তথ্য সংযুক্ত ছক মোতাবেক ই-মেইল ও হার্ড কপি এনবিআরে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

Manual6 Ad Code

বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবদুলাল ধর বলেন, বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে মোট ৮২টি অস্ত্র থানায় জমা আছে। মৃত্যুবরণ, প্রবাসে অবস্থানসহ নানা কারণে অস্ত্রগুলো পুলিশের কাছে জমা রাখা। তিনি বলেন, আমরা কেবল লাইসেন্স আছে কি-না, তাই খতিয়ে দেখি। কর সংক্রান্ত কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই।

শেয়ার করুন