Beanibazarer Alo

  সিলেট     বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

admin

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫ | ০১:৩৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ | ০১:৩৭ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

Manual5 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫৪তম বার্ষিকী। ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন রাষ্ট্র স্বাধীন বাংলাদেশের। একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চে পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র জনগণের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

Manual8 Ad Code

এ অবস্থায় ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। শুরু হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ, মহান মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশের) জনগণের স্বাধিকারের দাবি কখনো মেনে নিতে পারেনি। ব্রিটিশ শাসনের অবসানে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিতর দিয়ে ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠা হয় পাকিস্তান রাষ্ট্র। শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ওপর শোষণ ও দমনপীড়ন চালাতে থাকে। তাদের নীলনকশার প্রথম আঘাত আসে বাঙালির মাতৃভাষা বাংলার ওপর। ১৯৫২ সালে বুকের রক্ত দিয়ে জাতির বীরসন্তানরা মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁদের এ আত্মদানের ভিতর দিয়ে জাতি উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে স্বাধিকারের চেতনায়। ক্রমে তা রূপ নেয় স্বাধীনতাসংগ্রামে।

মুক্তিকামী বাঙালিকে চিরতরে দমনের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে পশ্চিম পাকিস্তানের কিছু রাজনীতিবিদ ও সেনাবাহিনী। ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করা সত্ত্বেও বাঙালির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে ছলচাতুরী করে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা। এর প্রতিবাদে ১৯৭১ সালের মার্চে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে এ ভূখে র মানুষ। ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। লাখো শহীদের আত্মদানের পথ ধরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে আমরা অর্জন করি কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। জাতি আজ সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। এবার এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদ্যাপন করা হচ্ছে মহান স্বাধীনতার ৫৪তম বার্ষিকী।

Manual1 Ad Code

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা বাণীতে বলেন, ‘আসুন, স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের এ মাহেন্দ্রক্ষণে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশের উন্নয়ন, শান্তি এবং সমৃদ্ধির পথে কাজ করার শপথ গ্রহণ করি।’ জাতীয় স্মৃতিসৌধের পাশাপাশি সারা দেশে স্থানীয় স্মৃতিসৌধগুলোতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ আয়োজন করা হয়েছে। আজ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন এবং ঢাকা নগরীতে সহজে দৃশ্যমান ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করেছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করছে। মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে।

Manual1 Ad Code

শেয়ার করুন