Beanibazarer Alo

  সিলেট     বৃহস্পতিবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মারা গেল পৃথিবীর ‘সবচেয়ে দুঃখী’ হাতি

admin

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২:২৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২:২৮ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
মারা গেল পৃথিবীর ‘সবচেয়ে দুঃখী’ হাতি

Manual3 Ad Code

নিউজ ডেস্ক:
পৃথিবীর ‘সবচেয়ে দুঃখী’ হাতি মালি অবশেষে চলে গেল। অন্ত্রের ক্যানসারে ভুগছিল হাতিটি। ছিল প্রবল শ্বাসকষ্টও। আর এতে ধুঁকে ধুঁকে কষ্ট পেতে পেতে মারা গেল সে।

আনুমানিক ৪৩ বছর বয়সি হাতিটির ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলার একটি চিড়িয়াখানায় জায়গা হয়েছিল। কিন্তু কেন এ হাতিটিকে পৃথিবীর ‘সবচেয়ে দুঃখী’ হাতি বলা হতো? কারণ হিসেবে জানা গেছে, দশকের পর দশক একা একাই সময় কাটাতে হয়েছে। ছিল না কোনো সঙ্গীও। এমন ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে দাবি উঠেছিল হাতিটিকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার। যেখানে সে সঙ্গী পাবে।

Manual5 Ad Code

২০১২ সালে ‘বিটলস’ খ্যাত পল ম্যাককার্টনি ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছিলেন, মালিকে মুক্তি দিতে এবং অন্যকোনো দেশে পাঠিয়ে দিতে। কিন্তু কোনো আর্জিতেই কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেই দুঃখী হাতিটি রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করে পরাজিত হলো।

এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে, অন্ত্রের ক্যানসারে ভুগছিল মালি। কদিন ধরেই তাকে দেখা যাচ্ছিল একটি দেওয়ালে অনবরত শুঁড় ঘষতে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় প্রবল শ্বাসকষ্টও।

Manual6 Ad Code

জানা যায়, ১৯৮১ সালে শ্রীলঙ্কার প্রশাসন ফিলিপিন্সের ফার্স্টলেডি ইমেলদা মার্কোসকে মালিকে উপহারস্বরূপ দেয়। মনে করা হয় সে সময় হাতিটির বয়স ছিল মাত্র ১১ মাস। ফার্স্টলেডি ইমেলদার কাছে শিবা নামে আরো একটি হাতি ছিল। ১৯৭৭ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত সে ঐ চিড়িয়াখানায় ছিল। তার মৃত্যুর পর থেকে নিঃসঙ্গ জীবন কাটাতে হয়েছে মালিকে। অবশেষে সাঙ্গ হলো তার একাকিত্বের জীবন। মালি পাড়ি দিল না ফেরার দেশে। রেখে গেল অনেক জবাব না দিতে পারা প্রশ্ন।

Manual6 Ad Code

শেয়ার করুন