Beanibazarer Alo

  সিলেট     শুক্রবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেভাবে উদ্ধার হলো বড়লেখা থেকে নিখোঁজ মাদ্রাসার ছাত্র রাফি ও সাইদুল

admin

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ০৬:০৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ০৬:০৮ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
যেভাবে উদ্ধার হলো বড়লেখা থেকে নিখোঁজ মাদ্রাসার ছাত্র রাফি ও সাইদুল

Manual8 Ad Code

বড়লেখা প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারে বড়লেখা থেকে নিখোঁজ হওয়া মাদ্রাসার ছাত্র তারেক আহমদ রাফি (১৫) ও সাইদুল ইসলাম (১৪)-কে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১২ নভেম্বর) রাতে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কমলাপুর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। রোববার সকালে তারা বাড়িতে পৌঁছেছে।

Manual1 Ad Code

রাফি উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের সফরপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছাদ উদ্দিনের ছেলে এবং সাইদুল বড়লেখা পৌরসভার দক্ষিণ বারইগ্রামের দুবাই প্রবাসী বদরুল ইসলামের ছেলে। তারা বড়লেখা পৌরশহরের অবস্থিত জামিয়া মাদানীয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র।

স্বজনরা জানিয়েছেন, রাফি ও সাইদুলের এখনও ঠিকমত কথা বলতে পারছে না। স্বজনদের অভিযোগ, কোনো চক্র হয়তো তাদের অপরহৃণ করেছিল।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে বড়লেখা পিসি মডেল স্কুল মাঠে আস সুন্নাহ মানবকল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত নাশিদ ও কেরাত প্রতিযোগিতায় জামিয়া মাদানীয়া মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্ররা অংশ নেয়। এতে রাফি এবং সাইদুল ছিল। ওইদিন রাতে রাফি ও সাইদুল অনুষ্ঠান (নাশিদ ও কেরাত প্রতিযোগিতা) থেকে নিখোঁজ হয়। এরপর থেকে তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ রাত ১২টার দিকে বিষয়টি স্বজনদের জানায়। এরপর থেকে রাফি এবং সাইদুলের পরিবার সম্ভাব্য বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও তাদের কোনো সন্ধান পাননি।

Manual5 Ad Code

এদিকে শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত আটটার দিকে মাদ্রাসার ছাত্র তারেক আহমদ রাফি তার মাকে ফোনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানায় সে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে আছে। এরপর রাফির স্বজনরা বিষয়টি স্থানীয় এমপি ও পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনকে জানান। পরে মন্ত্রীর ফোনে কমলাপুর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। রাতে রাফির এক আত্মীয় পুলিশের কাছ থেকে তাদেরকে তার কাছে নেন।

Manual8 Ad Code

রাফির মামা জাবেদ আহমদ বলেন, আমার ভাগ্না রাফি ও তার সহপাঠী সাইদুলকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা এখনও ঠিকমত কথা বলতে পারছে না। তবে রাফি জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা কেরাত অনুষ্ঠান থেকে এশার নামাজ পড়ার জন্য বড়লেখা বড় মসজিদে যায়। মসজিদে প্রবেশের আগে অপরিচিত এক কজন ব্যক্তি তাদের কাছে একটি ঠিকানা জানতে চায়। এরপর তাদের অজ্ঞান করে প্রথমে কুলাউড়া রেলস্টেশনে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ট্রেনে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর পুলিশ দেখে অপহরণকারীরা তাদের ফেলে পালিয়ে যায়। এসময় রাফি ফোন করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তার মাকে বিষয়টি জানায়। পরে আমরা পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনকে এবং পুলিশকে বিষয়টি জানাই। পরে মন্ত্রী পুলিশকে ফোনে বিষয়টি জানান। পরে কমলাপুর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নেয়। রাতে আমাদের এক আত্মীয় পুলিশের কাছ থেকে রাফি ও সাইদুলকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ভোরের দিকে তারা বাড়িতে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, কারা কেন তাদের অপহরণ করেছিল তার রহস্য পুলিশ চাইলেই উদঘাটন করতে পারবে।

Manual8 Ad Code

সাইদুলের বড় ভাই জাহিদুল ইসলাম বলেন, তার ভাই এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এখনও সে ঘুমাচ্ছে। কারা তাকে নিয়েগিয়েছিল সে সুস্থ হলে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে জানাবেন।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, বড়লেখা থেকে নিখোঁজ হওয়া দুই মাদ্রাসার ছাত্রকে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা পরিবারের কাছে রয়েছে।

শেয়ার করুন