Beanibazarer Alo

  সিলেট     শুক্রবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নারীকে হত্যা, ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

admin

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ | ০৫:২০ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ | ০৫:২০ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নারীকে হত্যা, ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

Manual4 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
শরীয়তপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর এক নারীকে হত্যার ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

Manual3 Ad Code

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, নিজাম বালী (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৫), ওমর ফারুক বেপারী (২৪), আল আমীন বেপারী (২০) ও ইব্রাহীম মোল্লা (২১)। আসামিদের ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ সুতলকাঠীর বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাজার এলাকার ৫৫ বছর বয়সী নারী ফিরোজা বেগম। ২১ এপ্রিল বাড়ি থেকে দশ কিলোমিটার দূরের পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বড় নওগা এলাকার আব্দুর রহমান মাস্টারের বাড়ির পূর্ব পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে তার হাত ভাঙা ও মাথা আঘাতের ক্ষত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন ওই নারীর ছোট ভাই লাল মিয়া সরদার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে শরীয়তপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে পুলিশ। বাকি আসামি চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পায়। পরে ২৮ এপ্রিল ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিজাম বালীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেন। ওই তিনজন আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। আর অন্য দুই আসামি ইব্রাহিম ও আল-আমীন পলাতক আছেন। আর ওমর ফারুক জামিনে গিয়ে পলাতক। এ ঘটনায় পরবর্তীকালে পুলিশ ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

২২ জনের স্বাক্ষগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ হত্যা ও ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

Manual2 Ad Code

নিহত ফিরোজা বেগমের ছেলে চিকিৎসক শাহ জালাল হাওলাদার বলেন, আমরা রায়ে খুশি হয়েছি। সরকারের কাছে দাবি দ্রুত যেন এই রায়ে কার্যকর হয়।

Manual1 Ad Code

শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সানাল মিয়া বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক হত্যাকাণ্ডের রায়। এক নারীকে গণধর্ষণ ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় পাঁচজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।

Manual1 Ad Code

শেয়ার করুন