Beanibazarer Alo

  সিলেট     বৃহস্পতিবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী পরিচয়ে প্রেমিক যুগলকে আটকে চাঁদা দাবি, নারীসহ ৩ ‘প্রতারক’ গ্রেপ্তার

admin

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:০৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:০৬ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী পরিচয়ে প্রেমিক যুগলকে আটকে চাঁদা দাবি, নারীসহ ৩ ‘প্রতারক’ গ্রেপ্তার

Manual2 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানে ঘুরতে যাওয়া প্রেমিক যুগলকে আটক রেখে চাঁদা দাবির ঘটনা ঘটেছে। এমন অভিযোগে নারীসহ ৩ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পাইকপাড়া ইউনিয়নের হলহলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল শহীদের ছেলে বাচ্চু মিয়া (৫২), গনেশপুর গ্রামের মৃত ডা. আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আব্দুল মালেক (৪৩), দেউন্দী বস্তী এলাকার শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী অলিমা আক্তার (২৬)।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল ) বিকেলে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এর আগে দুপুরে চুনারুঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একদল পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

Manual4 Ad Code

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানান, সোমবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলার ৪ নম্বর পাইকপাড়া ইউনিয়নের দেউন্দি চা-বাগানের চা সেকশনের ভেতরে এক যুবক তার প্রেমিকাকে নিয়ে ঘুরতে যায়। তাদেরকে (প্রেমিক যুগল) বাগানে পেয়ে গ্রেপ্তার বাচ্চু মিয়া এবং তার সহযোগিরা নিজেদের সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী বলে পরিচয় দেয়।

Manual1 Ad Code

তারা প্রেমিক যুগলের পরিচয় জানতে চায়। এসময় প্রেমিক যুগল ভয়ে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়। তখন বাচ্চু মিয়া তাদেরকে ভুয়া স্বামী-স্ত্রী বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক নিজের (বাচ্চু মিয়ার) বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে তাদের কাছে (প্রেমিক যুগলের) ৫ হাজার পরে ১৫ হাজার টাকা দাবি করে। পরে তারা দুই হাজার টাকা প্রদান করেন।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা আরও জানান, এঘটনায় প্রতারণার শিকার যুবকের বাবা বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় ৪ জনের নামে মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে দুটি মুঠোফোন ও নগদ ২ হাজার টাকাসহ তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে একজন পলাতক রয়েছে।

Manual8 Ad Code

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মালেক ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের কখনো সাংবাদিক আবার কখনো মানবাধিকারকর্মী পরিচয় দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জন করতেন।

Manual6 Ad Code

শেয়ার করুন