Beanibazarer Alo

  সিলেট     শুক্রবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর তিশা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্তের দাবি

admin

প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০২৩ | ১২:৩৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৩ | ১২:৩৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
হবিগঞ্জে চাঞ্চল্যকর তিশা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্তের দাবি

Manual1 Ad Code

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জ শহরতলীর ছোট বহুলা গ্রামে চাঞ্চল্যকর ঝুমা আক্তার তিশা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ তদন্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Manual4 Ad Code

শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনয়াতনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোছা. তাছলিমা খাতুন বলেন, তিশা হত্যাকান্ডে পরিকল্পনা করে তার নিরীহ কিশোর ভাই সিরাজুল ইসলাম আব্দালকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আর এতে করে প্রকৃত হত্যকারীরা রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

তিনি বলেন, জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী আমার ভাইয়ের বয়স ১৫ বছর হলেও মামলায় দেখানো হয়েছে ১৭ বছর ২ মাস। এছাড়াও আমার ভাইকে প্রতিপক্ষের যোগসাজসে পুলিশ প্রভাবিত হয়ে গ্রেফতার করে। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে।

Manual2 Ad Code

তিনি বলেন, মূলত আমরা চাই অবুঝ শিশু তিশা হত্যাকান্ডের প্রকৃত খুনীরা যেন ছাড় না পায়। আর সে জন্য প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনে সুষ্ট তদন্ত প্রয়োজন।

Manual8 Ad Code

লিখিত বক্তব্যে তাছলিমা আরো বলেন, গত ১০ জানুয়ারী ছোট বহুলা গ্রামের একটি মাঠ থেকে তিশার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিশা তার স্বামী আব্দুস শহীদ-এর ১ম পক্ষের কন্যা। তারা একই গ্রামের বাসিন্দা। আব্দুস শহীদের সাথে প্রায় ৪ বছর পুর্বে বিয়ে হয় তার। বিয়ে হওয়ার পর তারা জানতে পারেন আব্দুস শহীদের আরো এক স্ত্রী রয়েছে। তাদের ঘরে ছেলে মেয়েও আছে। সংসার জীবনে আমারও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর আব্দুস শহীদের ১ম স্ত্রী রয়েছে জানারও পরও বহু অত্যাচার ও কষ্ট সহ্য করে আমি সংসার চালাই। কিন্তু সম্প্রতি আমার স্বামী আব্দুস শহীদ, ১ম স্ত্রী রেজিয়া খাতুন, নুর হোসেন, আজিদ, সুমন ও সালাউদ্দিনসহ তাদের স্বজনরা আমার উপর অত্যাচার ও নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, আমার বাবা আব্দুল করিম এর উপরও হামলা করে আমার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এমতাবস্থায় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গেল বছরের ১৩ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে আমি আমার স্বামীকে তালাক দেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমার স্বামী আমার ও আমার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মজা দেখাইবে বলে হুমকি দেয়। যার ফলশ্রুতিতে তিশাকে পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করে আমার ভাইকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, মামলায় ঘটনার যে সময় উল্লেখ করা হয়েছে ওই সময় আমার ভাই বাড়িতে ছিল না। সে পার্শ্ববর্তী হাওরে সেচ কাজের জন্য সেখানে ছিল।

Manual3 Ad Code

তাছলিমা খাতুন বলেন, আমি মনে করি আমার নিরীহ কিশোর ভাইকে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। আমি ও আমার পরিবারের উপর প্রতিশোধ নিতেই এমনটা করা হয়েছে। আমরা চাই আইনশৃঙ্খলা বাহীনির নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত কারণ বেড়িয়ে আসুক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত তিশার পিতা আব্দুস শহীদ জানান, আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে পুলিশের তদন্তে তাদের নাম উঠে এসেছে। আমরা থানায় অজ্ঞাত মামলা করেছিলাম। আমরা কাউকে পরিকল্পনা করে ফাঁসাইনি।

শেয়ার করুন