কানাইঘাটে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি

Daily Ajker Sylhet

admin

০১ জুন ২০২৪, ০১:০৩ অপরাহ্ণ


কানাইঘাটে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি

কানাইঘাট সংবাদদাতা:
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেওয়ার পর কমতে শুরু করেছে বানের পানি। এখনও সুরমা ডাইকের ভাঙন দিয়ে নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও শুক্রবার বিকেল ২টার দিকে তা কমে বিপদ সীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত বুধবার পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর বিভিন্ন এলাকায় ডাইক ভেঙে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিলে পৌর শহর সহ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকার রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা, প্রতিষ্ঠান, হাজারো বাড়ি-ঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে সুরমা ও লোভা নদীর পানি কমতে শুরু করলে পৌর শহর সহ আশপাশ এলাকা বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হলেও প্রত্যন্ত এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

তবে এখনও প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন। যেসব এলাকার উচুঁ স্থান ও ঘর-বাড়ি থেকে পানি কমে গেলেও জলাদ্ধতার কারনে বানের কাদা পানি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এখনও শত শত মানুষ গবাদি পশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বন্যা কবলিত বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্র সহ উঁচু এলাকায় অবস্থান করছেন। পানি কমার সাথে সাথে কাঁচা ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ছে এবং পানিবাহিত রোগ ব্যাপক হারে ছড়ার আশঙ্খা রয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়ার পূর্বেই সুরমা নদীর ভাঙন কবলিত ডাইকগুলো (নদী রক্ষা বাঁধ) দ্রুত মেরামত করার জন্য সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এছাড়াও তিনি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত বানবাসী মানুষের খোঁজ-খবর নেন এবং শুকনা বিতরণ করেন।

অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরিন, থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বন্যা দেখা দেয়ার পর থেকে বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে বানবাসী মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ সহ খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।

Sharing is caring!