কারাগারে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে!

Daily Ajker Sylhet

admin

২৭ ডিসে ২০২৩, ০৪:৫২ অপরাহ্ণ


কারাগারে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে!

স্টাফ রিপোর্টার:
জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসী নবীনগর এলাকার বাসিন্দা কনে মোছা. দুলভী বেগম। দুলভী সন্তান জন্ম দেওয়ার পর স্ত্রীর অধিকার দিতে অস্বীকার করেন আব্দুর রশিদ শহিদ। কয়েক বছর পর দেশে ফিরে অন্যত্র বিয়েও করেন তিনি। স্ত্রীর অধিকার দিতে ২০১১ সালে জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেন দুলভী।

১৩ বছর আইনি লড়াই করে প্রেমিককে কারাগারে বিয়ে করলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের মোছা. দুলভী বেগমের। হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ কারাগারের জেল সুপারের কক্ষে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হোসেনসহ কারা কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।

দুলভী জানান, বাবা মারা যাবার পর মা সরলা বেগমসহ মামা বাবুল মিয়ার বাড়ি জগন্নাথপুরের শ্রীরামসী এলাকার নবীনগরে চলে আসেন তারা। ওখানেই গ্রামের ছাইম উল্লাহর ছেলে আব্দুর রশিদ শহিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। পরে গোপনে কাবিন ছাড়া বিয়েও করেন তারা। এরপর দুলভী গর্ভবতী হলে দুই মাসের মাথায় শহিদ মিয়া ইংল্যান্ডে চলে যান। এরপর থেকে দুলভী বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। দুলভী বেগম বলেন, ১৩ বছর পর সন্তানকে বাবার পরিচয় দিতে পেরে খুশি।

এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় আব্দুর রশিদ শহিদের। মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে দুলভী ও আব্দুর রশিদ শহিদের বিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন করা হয়। ছয় লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান কাজী।

আব্দুর রশিদ শহিদের স্ত্রী সাজনা বেগমও বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হোসেন, জেল সুপার শফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা সুপার হুমায়ুন কবিরসহ দুইপক্ষের কয়েকজন স্বজনও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত জেল সুপার হুমায়ুন কবির বললেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।

Sharing is caring!