Beanibazarer Alo

  সিলেট     বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহত, পালিয়ে এপাড়ে ঢুকছে বিজিপি সদস্যরা

admin

প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০৫:৫২ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০৫:৫২ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
গুলিতে তিন বাংলাদেশি আহত, পালিয়ে এপাড়ে ঢুকছে বিজিপি সদস্যরা

Manual2 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের তুমব্রু রাইট ক্যাম্প ও ডেকুবুনিয়া ক্যাম্পে ব্যাপক গোলাগুলি ও বোমা বর্ষণ চলমান রয়েছে। বিদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মি ও মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হচ্ছে। শনিবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গুলি ও বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে সীমান্তের ওপাড় থেকে বেশ কয়েকটি গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে তুমব্রু কোনার পাড়া, মাঝের পাড়া ও বাজার পাড়ায়। আতঙ্কে ঘর ছেড়েছে এই ৩ গ্রামের মানুষ। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ৩ জন। কোনার পাড়ার কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Manual5 Ad Code

গিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে আহতরা হলেন, কোনার পাড়ার বাসিন্দা প্রবীন্দ্র ধর (৫০), রহমা বেগম (৪০) এবং আমির হোসেনের ছেলে শামশুল আলম। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিদ্রোহী গ্রুপের ব্যাপক গুলাগুলির কারণে টিকতে না পেরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ-বিজিপির ৩৮ জনের মতো সদস্য বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছে বিজিবি ক্যাম্পে। সীমান্তপথে আরো ৩০ জনেরও বেশি বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে ঢোকার জন্য অবস্থান নিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

Manual4 Ad Code

শনিবার রাত ৩টা থেকে ব্যাপক গুলি বর্ষণের পাশাপাশি, মর্টার শেল নিক্ষেপ ও জান্তা বাহিনী যুদ্ধ হেলিকপ্টার থেকে বোমা মারছে। এতে সীমান্তের বাজার ঘাট বন্ধ রয়েছে। মিয়ানমারের তুমব্রু রাইট ক্যাম্পের চতুর্পাশে বিদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মি ঘিরে রেখেছে এবং বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট বিদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মি দখলে নিয়েছেন।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, মিয়ানমারের বিজিপির কিছু সদস্য তুমব্রু সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ আশ্রয় নিয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সীমান্তে লাগুয়া স্কুলগুলো আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Manual8 Ad Code

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড-বিজিবিও নিরাপত্তা বাড়িয়েছে সীমান্তে। নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্তে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য প্রশাসন থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সীমান্তের দিকে নজর রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, মায়ানমারের সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে সেদেশের জান্তা সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এ সংঘর্ষের জের ধরে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তেও উত্তেজনা চলছে। মায়ানমারের বিদ্রোহীরা দখল করে নিয়েছে মায়ানমারের তুমব্রু ক্যাম্পটি।

Manual7 Ad Code

এদিকে বর্তমানে সীমান্তজুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজমান। সীমান্তজুড়ে চলছে আতঙ্ক। মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে আত্বীয় স্বজনের বাড়িতে। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত হেলিকপ্টার থেকে গোলা বর্ষণ চলছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দীল মোহাম্মদ জানান, ৩ গ্রামের হাজারো মানুষ গত রাত থেকে বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। গরু, ছাগল, হাস, মুরগী ওই অবস্থায় রেখে ঘরবাড়ি ছেড়েছে সবাই। মালামাল নেওয়ারও সুযোগ হয়নি।

শেয়ার করুন