Beanibazarer Alo

  সিলেট     সোমবার, ১৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৩০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেলহত্যা দিবস আজ

admin

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ | ১২:১২ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ | ১২:১২ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
জেলহত্যা দিবস আজ

Manual3 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
আজ ৩ নভেম্বর—বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বেদনাবিধুর দিন। জাতির চারজন বিশিষ্ট নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে এই দিনে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায়। জাতি দিনটি পালন করে জেলহত্যা দিবস হিসেবে।

Manual8 Ad Code

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ এই চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। একই বছরের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে কারাগারের অভ্যন্তরে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতার পর মুজিবনগর সরকারের এই চার নেতার হত্যাকাণ্ড জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস ও পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যার অন্যতম দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।

এই ঘটনার পর দায়ের করা মামলাটি ‘জেলহত্যা মামলা’ নামে পরিচিতি পায়। আদালতের রায়ে এ মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের মধ্যে ১০ জন এখনও পলাতক। শুধুমাত্র একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে—তিনি হচ্ছেন বরখাস্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ, যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও অন্যতম আসামি ছিলেন। দীর্ঘ পলাতক জীবনের পর ২০২০ সালের এপ্রিলে দেশে ফিরে আসলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ওই মাসেই তার ফাঁসি কার্যকর হয়।

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনায় ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় মামলা করেন। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে মামলাটি স্থবির হয়ে পড়ে দীর্ঘ ২১ বছর। পরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মামলার তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হয়। প্রায় তিন দশক পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন।

Manual5 Ad Code

জেলহত্যা দিবসের প্রতি বছর এই দিনে জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে সেই চার নেতাকে, যারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রগঠনে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে নিবেদিত সহযাত্রী ছিলেন।

Manual8 Ad Code

শেয়ার করুন