Beanibazarer Alo

  সিলেট     শুক্রবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেবরের হাতে ভাবি খুন: সিলেটে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

admin

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | ০৪:৪১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | ০৪:৪১ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
দেবরের হাতে ভাবি খুন: সিলেটে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

Manual3 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের জৈন্তাপুরে ২০২১ সালে সোনারা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে খুন করেন তার সৎ দেবর। ওই খুনের ঘটনায় দেবর আব্দুল করিম (৩৯) ও তার স্ত্রী শিরিন বেগমকে (৩১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে আব্দুল করিমকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র দায়রা জজ মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।

Manual4 Ad Code

একই রায়ে সৎ ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করার অপরাধে আসামি আব্দুল করিমকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। এছাড়া আব্দুল করিম তার সৎ ভাইকে মারপিট করার সময় শিরিন বেগম সহযোগিতা করায় তাকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

Manual8 Ad Code

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) অ্যাডভোকেট মো. নিজাম উদ্দিন। তিনি বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফরফরা গ্রামের তোরাব আলীর স্ত্রীর সোনারা বেগম তার সৎ দেবর আব্দুল করিমের হাতে খুন হন। এসময় তোরাব আলীকেও মারপিট করে আহত করা হয়।

তোরাব আলী ও তার সৎ ভাই করিমের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বাড়ির জায়গা ও জমিজমা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ ছিল। ঘটনার কিছুদিন আগে প্রবাস থেকে ফেরার পর করিম ও তার স্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় বড় ভাইয়ের (তোরাবের) পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ হতো। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ঝগড়া বাধলে আব্দুল করিম ছোরা দিয়ে সৎ ভাবীর ঘাড়ের পেছনে আঘাত করলে সোনারা বেগম ঘটনাস্থলে মারা যান।

ঘটনার পর আবদুল করিম ও তার স্ত্রী শিরিন বেগমকে আটক করে পুলিশ।

মামলার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষ বৃহস্পতিবার এর রায় ঘোষণা করেন আদালত।

Manual4 Ad Code

আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. আকমল খান।

Manual3 Ad Code

শেয়ার করুন