Beanibazarer Alo

  সিলেট     শুক্রবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন বইয়ের অপেক্ষায় বিয়ানীবাজারের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী

admin

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১২:৫৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১২:৫৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
নতুন বইয়ের অপেক্ষায় বিয়ানীবাজারের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী

Manual8 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
চলতি বছরের প্রথম দিন ১লা জানুয়ারি বিয়ানীবাজারের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনাড়ম্বরভাবে পালিত হয়েছে বই উৎসব। গত বছর কাঙ্ক্ষিত বইয়ের চাহিদা দেওয়া থাকলেও সময়মতো উপজেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। যদিও জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে ধাপে ধাপে আসতে শুরু করেছে নতুন বই।

তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে বিয়ানীবাজারের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয়। উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। নতুন বই না পাওয়ায় তাদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের কোনো চিহ্ন ছিল না। অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসেনি।

এদিকে পাঠদান কার্যক্রম চলমান রাখতে বই না পাওয়া বিদ্যালয়ে বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড করে তা দেখে প্রয়োজনীয়টুকু পড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পিডিএফ বই প্রিন্ট করা অনেক ব্যয়বহুল হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত বইয়ের অপেক্ষায় রয়েছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।

Manual7 Ad Code

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলায় বাংলা, ইংরেজি এবং গণিতসহ অল্প সংখ্যক বই বিতরণ কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। প্রতিদিনই নতুন বই আসায় শিক্ষার্থীরা একটা-দুইটা করে বই পাচ্ছে।

Manual5 Ad Code

বিয়ানীবাজারের গোবিন্দশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কফিল উদ্দিন জানান, বছরের প্রথম দিনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বই বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই এখনো এসে পৌঁছায়নি। কয়েক দিনের মধ্যেই সেগুলো বিতরণ করা হবে।

Manual6 Ad Code

বিয়ানীবাজার বালিকা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক খালেদ আহমদ বলেন, ‘মাধ্যমিক স্তরের বই এখনো আমাদের হাতে আসেনি। নতুন বই এলেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।’

অভিভাবকরা জানিয়েছেন, বছরের প্রথম দিনেই সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া প্রয়োজন। বছরের শুরুতে বই হাতে না পেলে শিক্ষার্থীদের মনোবল নষ্ট হতে পারে।

Manual2 Ad Code

বিয়ানীবাজার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলুদুর রহমান জানান, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন বই আসছে। বই আসার এবং বিতরণের তালিকা ধারাবাহিকভাবে হালনাগাদ করা হচ্ছে। বই আসা মাত্র আমরা তালিকা প্রস্তুত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিতরণের চেষ্টা করছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নৃপেন্দ্র নাথ দাস বলেন, বই যেগুলো পাওয়া গেছে তার শতভাগ বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের পুরো চাহিদার বই পেতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি অথবা পুরো মাস সময় লেগে যেতে পারে।

শেয়ার করুন