Beanibazarer Alo

  সিলেট     মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশের ক্লাবে বাংলাদেশ

admin

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ | ০৬:২৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৩ | ০৬:২৪ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশের ক্লাবে বাংলাদেশ

Manual3 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) জন্য রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশের ক্লাবে প্রবেশ করেছে। বিশ্বের ৩৩তম ও দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরেনিয়াম গ্রহণ করে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে (গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি) স্বপ্নের প্রকল্পটির রুশ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোসাটম তেজস্ক্রিয় জ্বালানি হস্তান্তর করে।

Manual1 Ad Code

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের কাছে এই জ্বালানি হস্তান্তর করেন।

রোসাটম ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে। এর ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিটটি আগামী বছর এবং অপর ইউনিটটি ২০২৫ সালে চালু হবে।

Manual7 Ad Code

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসিও এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে বক্তৃতায়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, বাংলাদেশ মস্কোর পুরোনো ও পরীক্ষিত বন্ধু। সমতা ও সম্মান এই বন্ধুত্বের ভিত্তি।

তিনি বলেন, রাশিয়া শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নয়, প্রকল্পের পুরো সময়কাল সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতাও করে যাবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো যৌথ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে রাশিয়া সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও জানান ভ্লাদিমির পুতিন।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের প্ল্যান্টটির প্রথম ইউনিট এবং ২০২৫ সালে উৎপাদনে আসবে দ্বিতীয় ইউনিট। শিডিউল অনুযায়ী শেষ হবে এর নির্মাণকাজ। এখানে ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে এখানকার মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে।

‘পরিবেশ রক্ষা করবে’-রূপপুরে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা করেছে রোসাটম। এ কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো লাইফটাইমে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগতসহ সব সহায়তা করবে রাশিয়া। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রকে যে সনদ আজ দেওয়া হলো, তার মাধ্যমে পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশের প্রথম এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র।

একটি বিশেষ ফ্লাইটে গত ২৮ সেপ্টেম্বর আরএনপিপি-র জন্য পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম চালান (ইউরেনিয়াম রড) এখানে এসে পৌঁছায়।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, সরকার আশা করছে যে, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ও দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে চালু করা যাবে।

প্রকল্পটিতে ৭০০০ পেশাদারসহ ৩০০০০ কর্মী কাজ করছে। প্রকল্পটি ৬০-৮০ বছর ধরে সচল থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কর্মকর্তারা বলেছেন, এই আরএনপিপি পারমাণবিক ক্লাবে প্রবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবে। কারণ, এটি কার্বন নির্গমন হ্রাস লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হওয়ার পাশাপাশি ফ্ল্যাশের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমিয়ে দেবে।

Manual4 Ad Code

একবার পারমাণবিক জ্বালানী বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের চুল্লিতে লোড করা হলে, এক বছরের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। এর পরে, জ্বালানি চুল্লিতে পুনরায় লোড করতে হবে।

২০২১ সালের অক্টোবরে ইউনিটের কাঠামোর মধ্যে চুল্লি স্থাপনের মাধ্যমে রূপপুর ইউনিট-১ প্রায় সম্পন্ন হয়। এটি আইএইএর মান অনুযায়ী স্থাপন করা হয়েছে।

Manual5 Ad Code

শেয়ার করুন