পুলিশ ফাঁড়িতে পিপিকে মারধর: যশোরে আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

Daily Ajker Sylhet

admin

১১ জুন ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ণ


পুলিশ ফাঁড়িতে পিপিকে মারধর: যশোরে আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

যশোর প্রতিনিধি:
যশোরে পুলিশ ফাঁড়ির ভেতরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে মারধরের ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনসহ দুজনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়ার আদালতে অভিযোগটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল।

আদালত এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। এই তথ্য মামলার বাদী পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে পাবলিক প্রসিকিউটরকে মারধরের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে পাবলিক প্রসিকিউটরকে মারধরের অভিযোগ।

মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিতীয় ভবনের সামনের ফুটপাতে কিছু ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী টেবিল পেতে কাপড় বিক্রি করেন। সেখানে এক ব্যবসায়ীকে জোর করে উঠিয়ে, অন্য একজনকে বসায় শাহীন নামে এক ব্যক্তি। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্দেশে তিনি এ টেবিল বসিয়েছেন। এটা কেউ ওঠালে তার হাত কেটে নেওয়া হবে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ পার্শ্ববর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেন। গত ৯ জুন রাতে পুরাতন কসবা ফাঁড়ির এসআই হেলাল মিমাংসার জন্য শাহীনসহ অন্য ব্যবসায়ীদের ডেকে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা ও পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে ফাঁড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন একদল যুবক নিয়ে ফাঁড়িতে যান। তিনি মুস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে ধান্দাবাজি করিস উল্লেখ করে মারধর শুরু করেন। এ সময় বাড়াবাড়ি করলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। তিনি দাবি করেন, পিপি মোস্তাফিজুর মুকুল ফুটপাতের দোকানদারদের কাছ থেকে হিস্যা খায়। ঐ ফুটপাতে শাহীন নামে এক কর্মী দোকান দিতে গেলে, তাকে বাঁধা দেয়। পরে পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেওয়া হয়। আমি শাহীনকে পুলিশ ফাঁড়িতে যেতে বলেছিলাম। সেখানে যাওয়ার পর পিপি মুকুল ঐ দোকানদার শাহীনকে বেদম মারধর করে। খবর পেয়ে আমি সেখানে যাই। থানার ওসি ফোন করে জানায়, যা হওয়ার হয়েছে। বিষয়টি আমরা দেখছি। এরপর সেখান থেকে চলে আসি। আমি তাকে মারধর করিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, পিপি মুকুল আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করলে আমরাও পাল্টা মামলা করব। কারণ শাহীন নামের ঐ কর্মীকে বেদম মারধর করেছে পিপি মুকুল। তার মেডিকেল সার্টিফিকেট আছে। এ সময় ভুক্তভোগী দোকানদার শাহীন উপস্থিত ছিলেন। তিনিও নির্যাতনের বর্ণনা দেন সংবাদ সম্মেলনে।

এদিকে পিপি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে মানববন্ধন করেছেন আইনজীবীরা। তারা ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান।

Sharing is caring!