Beanibazarer Alo

  সিলেট     বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বন্ধ হলো পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র : সিলেটেও পড়বে প্রভাব!

admin

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৩ | ০৮:১৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৫ জুন ২০২৩ | ০৮:১৬ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
বন্ধ হলো পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র : সিলেটেও পড়বে প্রভাব!

Manual3 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
কয়লার অভাবে সোমবার (৫ জুন) থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ হলো পটুয়াখালীর ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের মধ্যে ৬৬০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার একটি ইউনিট গত ২৫ মে বন্ধ হয়ে যায়। আগামী ২০-২৫ দিন এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ থাকতে পারে।

Manual7 Ad Code

ডলার সংকটের কারণে কয়লার দাম দিতে না পারায় প্রায় এক মাসের জন্য এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তিন বছর আগে উৎপাদনে আসার পর এবারই প্রথম পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে হলো। দেশের বৃহত্তম এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার এর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে সাড়া দেশে। যার কারণে লোডশেডিং বাড়তে পারে।

Manual6 Ad Code

তবে এর প্রভাব সিলেটে কতটুকু পড়বে? জানা গেছে দেশের মোট চাহিদার ৯ ভাগ বিদ্যুৎ এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরবরাহ হচ্ছিল। অর্থাৎ এখান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যাওয়ার পর, সেখান থেকে বরিশাল, খুলনা বিভাগ ছাড়াও ঢাকার কিছু এলাকায়ও সরবরাহ করা হতো। এ কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হলে বিদ্যুৎখাতে এর নেতিবাচক প্রভাব অবশ্যই পড়বে।

Manual4 Ad Code

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিদিন গড় বিদ্যুতের চাহিদা ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। এর বিপরীতে গড়ে প্রতিদিন ১২ থেকে সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

তবে কখনো কখনো দৈনিক চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎও উৎপাদন হয়। যেমন এ বছরের ২৯ এপ্রিল সাড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল। সেদিন দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১১ হাজার ৫৫৫ মেগাওয়াট।

কিন্তু পিডিবির হিসেবে, চাহিদার চেয়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও ঐ দিন বাংলাদেশে বিদ্যুতের যোগান ছিল মোট চাহিদার চেয়ে ৯০ মেগাওয়াট কম।

কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা থাকলেও সঞ্চালন ও সরবরাহ লাইনের অভাব থাকায় গ্রাহকদের কাছে ঠিকমতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায় না। তাই অনেক এলাকাতেই গ্রাহকরা বিদ্যুৎ সেবা ঠিকমতো পান না।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল করিম জানান, দেশের বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার প্রভাব সিলেট মহানগরে তেমন না পড়লেও, শহরের বাইরে কিছুটা হলেও পড়বে। তবে তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। আমরা আশা করছি অবস্থার এত খারাপ হবে না। বর্তমানে পিডিবি সিলেটে ১৫ পার্সেন্ট লোডশেডিং রয়েছে। সিলেট বিভাগে বর্তমানে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা থাকলেও আমরা পাচ্ছি ১৭০ মেগাওয়াট এর মত। পরিস্থিতি এমনই থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বিভাগ (বিপিডিবি) সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের প্রভার সিলেটে আলাদা করে পড়বে না, সারা দেশে এর প্রভাব পড়বে। এর কারণে সিলেটে লোডশেডিং এর পার্সেন্টেজ একটু বেড়েছে। আগে যে অবস্থা ছিল তার থেকে ৭ পার্সেন্ট এর মত লোডশেডিং বেড়েছে। পরিস্থিতি এমনই থাকবে।

 

Manual8 Ad Code

শেয়ার করুন