Beanibazarer Alo

  সিলেট     বৃহস্পতিবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

admin

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪ | ১২:০৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪ | ১২:০৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

Manual4 Ad Code

স্পোর্টস ডেস্ক :
বাংলাদেশ দলকে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৮ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের সেমিফাইনালে উঠে গেলে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। আফগানদের ৮ রানের জয়ে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ভেস্তে গেল অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের।

আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে থামানোর পর সেমিফাইনালে খেলার জন্য বাংলাদেশ লক্ষ্য ছিল ৭৩ বলে ১১৬ রান। ১২.১ ওভারে এই রান করতে পারলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল চলে যেত টাইগাররা। বাংলাদেশ যদি আজ কোনো মতো জয়ও পেত তাহলে লাভ হতো অস্ট্রেলিয়ার। তারা রান রেটে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালে যেত।

কিন্তু টাইগারদের ৮ রানের পরাজয়ে ভাগ্য প্রসন্ন হলো আফগানদের। অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশকে বিদায় করে সেমিতে চলে গেল রশিদ খানরা।

মঙ্গলবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান করে আফগানিস্তান।

Manual4 Ad Code

১ উইকেট ৮০ রান করে ভালো পজিশনেই ছিল আফগানরা। এরপর রিশাদ হোসেনের লেগ স্পিন আর মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের গতির মুখে পরে মাত্র ১২ বলে ৯ রান তুলতেই আফগানরা হারায় ৪ উইকেট। টপাটপ উইকেট পতনের কারণে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানরা।

আফগানিস্তানের হয়ে ৫৫ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ইনিংসের একিবারে শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১০ বলে তিন ছক্কায় ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন রশিদ খান। এছাড়া ২৯ বলে ১৮ রান করেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান।

বাংলাদেশ দলের হয়ে ৪ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। একটি করে উইকেট নেন তাসকিন ও মোস্তাফিজ।

আফগানদের ১১৫ রানে থামানোর পর বাংলাদেশের সামনে সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ ছিল এমন-বাংলাদেশ যদি ১২.১ ওভারের মধ্যে জয় পায় তাহলে সরাসরি সেমিফাইনালে চলে যাবে।

Manual3 Ad Code

অথবা সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য অবশ্য ১২.৫ ওভারে এই রান টপকালেও চলবে বাংলাদেশকে। সে ক্ষেত্রে স্কোর সমান হওয়ার পর একটি ছয় মারতে হবে। অর্থাৎ ১২.৫ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২১ রান। আবার ১২.৩ ওভারে আফগানিস্তানকে টপকাতে পারলেও সেমিফাইনালে যাবে বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে ১২.৩ ওভারে করতে হবে ১১৯ রান।

আর আফগানিস্তান যদি কোনো মতো জয় পায় তাহলে তারা সেমিফাইনালে চলে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ যদি কোনো মতো জয় পায় তাহলে বাংলাদেশ ও আফগানদের হতাশ করে সেমিফাইনালে চলে যাবে অস্ট্রেলিয়া।

বাংলাদেশ ৭৩ বলে ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামার আগেই শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হতে একটু বিলম্ব হয়। খেলা শুরু হলে প্রথম ওভারে ১৩ রান করে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ফজলহক ফারুকির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করা শান্ত এক বল পর বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন।

নাভিন উল হকের করা তৃতীয় বলে শান্ত আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেই উইকেটের উপর ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। পরপর দুই বলে দুই উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় বাংলাদেশ।

৩.৩ ওভারে বাংলাদেশর সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৩১ রান। এরপর স্থানীয় সময় ১১.১৫ মিনিটে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে ১০ বলে মাত্র ১০ রান করে সাজঘরে ফিরেন সৌম্য সরকার।

৬.৩ ওভারে সৌম্য যখন আউট হন বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন মাত্র ৪৮ রান। ৭৩ বলে ১১৬ রানের লক্ষ্য থাকায় রানের চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। যে কারণে ব্যাটিংয়ে নেমেই আক্রমণাত্মক মুডে ছিলেন তাওহিদ হৃদয়। সেটি করতে গিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তরুণ এই ব্যাটসম্যান।

তাওহিদ প্রতিটি বলেই বাউন্ডারি হাঁকাতে চেষ্টা করেন। মাত্র ৯ বল খেলে ১৪ রান করে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তাওহিদ। তার আউট নিয়ে হতাশ নয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তার মধ্যে যে রান করার তারণা ছিল তাতেই খুশি টাইগার সমর্থকরা।

দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রান পাননি সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। তিনি ৯ বলে মাত্র ৬ রান করে ফেরেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ব্যাটিংয়ে নেমেই আউট হন রিশাদ হোসেন।

১১.৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ৮২ রান। তখন ফের বৃষ্টি শুরু হয়। ৭ মিনিট পর খেলা যখন ফের শুরু হয় তখন ম্যাচের দৈর্ঘ ১ ওভার কমে যায়। বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯ ওভারে ১১৪ রান। তার মানে ৬ বলে রান কমল মাত্র ২।

Manual5 Ad Code

১১৪ বলে ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন লিটন কুমার দাস। তাকে সঙ্গ দিতে নেমে ১৪.২ ওভারে দলীয় ৯২ রানে ফেরেন পেস বোলার তানজিম হাসান সাকিব।

ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রাখেন লিটন কুমার দাস। তিনি ৪১ বলে ৫টি চার আর এক ছক্কায় ফিফটি পূর্ণ করেন। কিন্তু লেজের ব্যাটসম্যানরা লিটনকে সেভাবে সঙ্গত দিতে পারেননি। যে কারণে ৪৯ বলে ৫টি চার আর এক ছক্কায় ৫৪ রান করে অপরাজিত থেকেও দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁঁছাতে পারেননি লিটন।

আফগানদের ৮ রানের ঐতিহাসিক জয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন নাভিন উল হক ও রশিদ খান। নাভিন ৩.৫ ওভারে ২৬ রানে ৪ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হন। ৪ ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট নেন রশিদ খান।

Manual4 Ad Code

শেয়ার করুন