Beanibazarer Alo

  সিলেট     বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাসার ছাদে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবক অধরা

admin

প্রকাশ: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বাসার ছাদে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত যুবক অধরা

Manual2 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত ধর্ষককে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় থানা পুলিশ শুধুমাত্র একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, মূল আসামিসহ অন্যরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গত ২৩ ফেব্রুয়ারি খিলক্ষেত থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

Manual2 Ad Code

মামলায় আসামিরা হলেন, তানভীর (২২), গালিফ (২২), মাহাদী (২২) ও মো. সানি। এর মধ্যে মো. সানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, তিনি রাজধানীর উত্তরায় একটি শোরুমে কাজ করেন। মার্কেটে কাজ করাকালীন প্রায় ছয় মাস আগে তার সঙ্গে একজন ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের মাঝে মধ্যে ঝগড়া হতো। ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার জন্য আসামি মো. সানি ভুক্তভোগী নারীকে ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়।

Manual5 Ad Code

বিষয়টি সমাধানের জন্য ৩ নম্বর আসামি মাহাদী গত ২২ ফেব্রুয়ারি খিলক্ষেত যেতে বলেন ওই নারীকে। মাহাদীর কথায় ওই নারী খিলক্ষেত যান। সেখান থেকে খিলক্ষেত থানাধীন রাজউকের মার্কেটের সামনে নিয়ে যাওয়া ওই নারীকে।

Manual4 Ad Code

সেখানে উপস্থিত ছিলেন এক নম্বর আসামি তানভীর ও দুই নম্বর আসামি গালিফ। তারা মাহাদীকে বলে তোর কাজ ছিল নারীকে হাজির করা, এখন তোর কাজ শেষ, তুই চলে যা। তখন আসামি তানভীর ও আসামি গালিফ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে রিকশায় জোর করে অপহরণ করে। এরপর খিলক্ষেত থানাধীন মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান হাফিজের বাড়ির পঞ্চম তলার বাড়ির ছাদে নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য জোর করে।

পরে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে ওই নারীকে প্রধান আসামি তানভীর ধর্ষণ করে। এরপর সেখান থেকে কৌশলে রাত ১১টার দিকে দৌড়ে পালিয়ে তার বড় বোনের বাসায় চলে যান ওই নারী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীন মোহাম্মাদ বলেন, ধর্ষণের ঘটানটি নিয়ে তদন্ত চলছে। মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে। চারজন আসামির মধ্যে মো. সানি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Manual4 Ad Code

শেয়ার করুন