বিয়ানীবাজারে অসহায় ১৫টি পরিবারে বসতঘর নির্মাণ করে দিয়েছে লন্ডনের প্রগতি এডুকেশন ট্রাষ্ট

Daily Ajker Sylhet

admin

১২ ফেব্রু ২০২৪, ০৫:৫০ অপরাহ্ণ


বিয়ানীবাজারে অসহায় ১৫টি পরিবারে বসতঘর নির্মাণ করে দিয়েছে লন্ডনের প্রগতি এডুকেশন ট্রাষ্ট

স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজারের ১৫টি পরিবারের কাছে প্রগতি এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র উদ্যোগে নির্মিত বসতঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বাছাইকৃত অসহায় লোকজনের মধ্যে এসব ঘর ট্রাস্টের অর্থায়নে নির্মাণ করে সমঝিয়ে দেয়া হয়। একেকটি বসতঘর নির্মাণে ব্যয় হয় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এতে দুই বেডরুম, একটি ডাইনিং, কিচেন ও বারান্দা রাখা হয়েছে।

এছাড়াও উপজেলার প্রায় ৪শ’ গরীব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তি হিসেবে এককালীন ৫ হাজার টাকা করে তুলে দেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শনিবার পৌরশহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বসতঘর হস্তান্তর ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

প্রগতি এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সভাপতি মনজুরুছ সামাদ চৌধুরী মামুন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন ও বোর্ড অব ট্রাষ্টি শিহাব উদ্দিন কাজল এর যৌথ সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র ফারুকুল হক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা আক্তার ও অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর।

বসতঘর প্রাপ্ত এক সুবিধাভোগী জানান, তার মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলনা। এই ঘর পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে তিনি শান্তিতে থাকতে পারবেন বলে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান ময়না, সহ সভাপতি আকমল হোসেন দুলা মিয়া, কোষাধ্যক্ষ নাসিম আহমদ চুনু, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুজ্জামান বদর, বোর্ড অব ট্রাষ্টি জামির হোসেন চৌধুরী, ট্রাষ্টি সাহাব উদ্দিন, আশিক রহমান, আব্দুল করিম রুহেল, আব্দুল হাকিম হাদি, আব্দুল ওয়াহিদ প্রমুখ। বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ অনুষ্টানে উপস্থিত হয়ে সংগঠনের মানবিক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

প্রগতি এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন জানান, বসতঘর নির্মাণ করে দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রকৃত অসহায়দের বাছাই করি। যার নিজের ভূমি আছে মূলত: তাকেই আমরা ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। এক্ষেত্রে কয়েকধাপে বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তবে কারা ঘর পেয়েছেন তাদের নাম আমরা জানাবোনা। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে ঘরগুলোর চাবি তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

সভাপতি মনজুরুছ সামাদ চৌধুরী মামুন জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য মূলত: আমাদের ৭৫ লক্ষ টাকার এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যুক্তরাজ্য প্রবাসীরা এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরো প্রকল্প গ্রহণ করে আবাসন সমস্যা দূর করার পাশাপাশি অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই।

স্থানীয় শিক্ষা বিস্তারের জন্য ২০০৭ সালে ৬ জন ট্রাস্টি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রগতি এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে। এরপর থেকে নানা সমাজকল্যাণমূলক এবং মানবিক কর্মকান্ড সম্পাদন করে তারা বিয়ানীবাজারের মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

Sharing is caring!