Beanibazarer Alo

  সিলেট     সোমবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মনিরা পারভীন হত্যায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড, স্বামী খালাস

admin

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৩ | ০৭:০১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৮ মে ২০২৩ | ০৭:০১ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
মনিরা পারভীন হত্যায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড, স্বামী খালাস

Manual6 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
এক দশক আগে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় যৌতুকের দাবিতে নববধূ মনিরা পারভীনকে হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় মনিরার স্বামী নাসির হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

কয়েক দফা পেছানোর পর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক মাফরোজা পারভীন বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মনিরার স্বামী নাসিরের ভাই মাসুদ, বোন হাসিনা ও তার স্বামী মিলন, মিলনের ভাই দেলোয়ার হোসেন ও নাসিরের চাচা দ্বীন ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডিত আসামিদের সবাই জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

রায়ে বিচারক বলেন, এটা একটি ঠাণ্ডা মাথার খুন। দণ্ডিতরা যেন কাঠগড়া থেকে পালাতে না পারেন। রাষ্ট্রপক্ষকে বিচারক বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ ডাকুন। এদের সাবধানতা অবলম্বন করে কারাগারে নিয়ে যান।

Manual5 Ad Code

রায় শুনে মনিরার বাবা মো. মোস্তফাকে কাঁদতে দেখা যায়। আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, আসামিদের সাজা যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।

Manual6 Ad Code

মনিরাকে হত্যার অভিযোগে ২০১৩ সালের ২৩ জুন খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন তারা রিকশাচালক বাবা মো. মোস্তফা। সেখানে নাসির ও তার চাচাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।

Manual3 Ad Code

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কেএম আশরাফ উদ্দিন। পরে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

Manual2 Ad Code

মামলায় বলা হয়, খিলক্ষেতে মনিরা পারভীন ও নাসির হোসেনের বাসা ছিল পাশপাশি। ২০১৩ সালের ১৮ জুন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মনিরা ওষুধ কেনার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। খোঁজাখুঁজির পর পরিবার জানতে পারে, কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে মনিরাকে বিয়ে করেন নাসির।

মনিরার বাবা মোস্তফা এ খবর শোনার পর নাসিরদের বাসায় যান এবং তার বাবা হাছেন আলীর কাছে তার মেয়েকে ফেরত চান। তখন হাছেন আলী ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তফার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন বলে অভিযোগে বলা হয়। যৌতুক না দিলে বাবা-মেয়েকে ‘খুনের হুমকি’ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়।

শেয়ার করুন