মিডিয়ায় ফেস দেখাতে বঙ্গভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা করবেন না : নুর
২৩ অক্টো ২০২৪, ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
অতিউৎসাহী হয়ে মিডিয়ায় ফেস (চেহারা) দেখাতে বঙ্গভবনের সামনে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করবেন না বলে হুসিয়ারি দিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। গতকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মধ্যরাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
ফেসবুক পোস্টে নুর বলেন, ‘রাষ্ট্রপতিকে সরানোর প্রয়োজন হলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সরানো হবে। অতিউৎসাহী হয়ে মিডিয়ায় ফেস (চেহারা) দেখাতে বঙ্গভবনের সামনে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করবেন না।
’
দুই ঘণ্টায় ফেসবুক পোস্টটিতে সাড়ে পাঁচশরও বেশি পাঠক মন্তব্য করেছেন। মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ নামে একজন লিখেছেন, ‘খুব সুন্দর কথা বলেছেন।’ রইস উদ্দীন লিখেছেন, ‘আপনার কথায় একমত।’ শরাফত হোসেন লিখেছেন, ‘এটাই আদর্শ, শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান নেতার পরিচয়।
’ সাদিয়া আক্তার নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘এটাই মূলত যৌক্তিক কথা। একজন শিক্ষিত আদর্শবান নেতার কথা এমনই হয়।’
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যাত্রা শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
কিন্তু বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায় তারা। সেখানে তারা বঙ্গভবনের সামনের খালি জায়গায় অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। উপায় না পেয়ে বঙ্গভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ হঠাৎ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। সে সময় বিক্ষোভকারীদের সামলাতে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।
শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি। এতে তিনজন আহত হন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।
সম্প্রতি একটি পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, (পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার) বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি। এরপর নতুন করে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারীরা।