Beanibazarer Alo

  সিলেট     শুক্রবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুবদল নেতাকে না পেয়ে বড় ভাইকে কুপিয়ে-গুলি করে হত্যা

admin

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২:৩১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২:৩১ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
যুবদল নেতাকে না পেয়ে বড় ভাইকে কুপিয়ে-গুলি করে হত্যা

Manual6 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
রোববার সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের লালানগরে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগ এসেছে, স্থানীয় যুবলীগ নেতা তৌহিদের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম নুরুল মোস্তফা বজল। সীতাকুণ্ডের বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার মজিবুল হকের ছেলে ও লালানগর গ্রামের সর্দার ছিলেন তিনি।

Manual8 Ad Code

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা নুরুল মোস্তফা বজলের একটি কব্জি পুরো কেটে ফেলা হয়েছে। এরপর মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে। তার মাথায় একাধিক কোপ ও শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।’

নিহত নুরুল মোস্তফা বজলের ছোট ভাই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় আমার বড় ভাই বাজারে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এর মধ্যে স্থানীয় যুবলীগ ক্যাডার তৌহিদের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী লোক দুটি সিএনজি নিয়ে এসে প্রথমে আমার ভাইকে গুলি করে। এরপর তারা ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে চলে যায়। সেখানে এতগুলো লোক ছিল। কিন্তু কেউ প্রতিবাদের সাহস করেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাই ভালো ব্যবসায়ী ছিলেন। তার পোল্ট্রি খামার ও মাছের ঘের ছিল। পাশাপাশি তিনি গ্রামের সর্দার ছিলেন। তবে মূলত আমার রাজনীতির কারণে তিনি এভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন। তবে আমি শহরেই ছিলাম। পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে আমি এখন বেশির ভাগ সময় চট্টগ্রাম শহরে থাকি।’

Manual5 Ad Code

এই যুবদল নেতা বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ইসমাইল আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস (মেসেজ) পাঠিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, আমার বড় ভাই এলাকায় আওয়ামী লীগের ব্যানার পোস্টার ছিঁড়েছেন। পরে আমি ভাইকে ফোন দিয়ে ব্যাপারটি জিজ্ঞেস করি। তখন তিনি জানিয়েছেন, এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। তখন আমি ভাইকে বলছিলাম, তাদের সঙ্গে ঝামেলায় না জড়াতে। আমি তাকে শহরে চলে আসতে বলেছিলাম। আগামীকাল তার (সোমবার) শহরে চলে আসার কথা ছিল। তবে তার আগেই তারা ভাইকে এভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।’

সূত্র জানায়, পেশায় পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নুরুল মোস্তফা বজল ৩ মেয়ে ও ১ ছেলের বাবা। তিনি নিজেও স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ও সর্বশেষ বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। এছাড়া চলমান হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে নিজেও সক্রিয় ছিলেন তিনি।

Manual3 Ad Code

বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের ব্যক্তিগত সহকারী ও নগর কৃষকদল নেতা আজম খান বলেন, ‘যুবদল নেতা ইসমাইলের বড় ভাই নুরুল মোস্তফা বজলকে সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী মামুনের ক্যাডার বলে পরিচিত ইসলামের সহযোগী ডাকাত তৌহিদের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে গুলি করে এবং কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা খুনিদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

Manual1 Ad Code

তবে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘নিহত বজলদের সঙ্গে তৌহিদের পারিবারিক বিরোধ ছিল। যতটুকু জানি এই কারণেই হত্যাকাণ্ড। আর তৌহিদ একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় ১৮টি মামলা রয়েছে।’

শেয়ার করুন