রাইসির মৃত্যু কামনা করে যা বললেন মার্কিন সিনেটর!

Daily Ajker Sylhet

admin

২০ মে ২০২৪, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ


রাইসির মৃত্যু কামনা করে যা বললেন মার্কিন সিনেটর!

অনলাইন ডেস্ক :
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় রাইসি যদি মারা গিয়ে থাকে তাহলে পৃথিবী এখন নিরাপদ। এমন মন্তব্য করেছেন রিপাবলিকান মার্কিন সিনেটর রিক স্কট। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্টের বিপর্যয়কে স্বাগত জানিয়েছেন।

এক এক্সবার্তায় তিনি লিখেছেন, তাকে ভালোবাসা বা শ্রদ্ধা করা হয়নি এবং কেউ তাকে মিস করবে না।

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক মিত্রসহ রাইসির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা অসংখ্য বিদেশি কর্মকর্তা ও দেশ তার মন্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে রয়েছেন।

এর আগে রাইসির এমন দুর্ঘটনায় হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধস্ত হওয়ার প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করছে।

এ হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা উদ্বিগ্ন গোটা ইরান। জরুরি বৈঠক করেছে দেশটির মন্ত্রীসভা। তবে এ ঘটনায় প্রশাসনে যেন কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেছেন, মাননীয় প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার সম্পর্কে ইরান থেকে দুঃখজনক সংবাদ শুনেছি। প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে ‘সব ঠিক আছে’ এমন সুসংবাদের জন্য অপেক্ষা করছি। আমাদের প্রার্থনা এবং শুভকামনা মাননীয় প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং সমগ্র ইরানী জাতির সঙ্গে রয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এক টুইটবার্তায় লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির আজকের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এই সঙ্কটের সময়ে ইরানি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি এবং প্রেসিডেন্ট ও তার সফরসঙ্গীদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের ভারজাকান এবং জোলফা নামক জায়গার একটি ঘন বন জঙ্গল ও পাহাড়ি অঞ্চলে।

রোববার আজারবাইজানে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে করে তাবরিজে আসছিলেন। সেখানেই এই দুর্ঘটনা ঘটে।

Sharing is caring!