প্রধান উপদেষ্টাকে লক্ষ্য করে ছাত্রশক্তির সভাপতি জাহিদ আহসান বলেন, ‘আমরা সাবধান করে দিচ্ছি ড. ইউনূসকে। আপনার যদি মনে হয়, এই কণ্ঠ আপনার কানে পৌঁছায় না, যমুনার পাশে গিয়ে কণ্ঠ পৌঁছে দিয়ে আসব।… যদি আজকে রাতে শান্তিতে ঘুমাতে চান, তাহলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের ব্যবস্থা করেন। না হলে রাতে আপনার বাসার পাশে গিয়ে এ কণ্ঠ শোনানো হবে।’
আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণে হাদির ওপর হামলা হয়েছে এবং বিপ্লবীদের অনেকে হত্যকাণ্ডের শিকার হয়েছেন অভিযোগ করে ছাত্রশক্তির সভাপতি বলেন, এনসিপি নেত্রী জান্নাত আরা রুমি আজ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন। তাকে দীর্ঘদিন ধরে সাইবার বুলিং করা হয়েছিল, থানায় জিডি করেও কোনো প্রতিকার পাননি। একই সঙ্গে এর আগে গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যারা নিহত হয়েছেন, এ আইনশৃঙ্খলা অবনতির কারণে হয়েছেন। এ সবকিছুর জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।
ছাত্রশক্তির এই নেতা বলেন, ‘আলু আর পেঁয়াজের দামের জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দরকার নেই, বাণিজ্য ও কৃষি উপদেষ্টা আছেন। এমন একজন মানুষ, যার কোনো সেন্স নেই, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো চেষ্টা নেই, তার মতো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের দরকার নেই।’
পদত্যাগ না করলে রাজপথ না ছাড়ার কথা জানিয়ে ছাত্রশক্তির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী সুলতানা জেদনী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম পদত্যাগ না করলে আমরা রাজপথ ছাড়ব না। প্রয়োজনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য যেভাবে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও দিয়েছি, আজকেও সেভাবে যমুনা ঘেরাও দেব।’
সমাবেশে ছাত্রশক্তির নেতা–কর্মীরা ‘হাদিরা মরে না, ২৪ হারে না’, ‘৭১–এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ নানান স্লোগান দিতে থাকেন। এরপর তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য হয়ে ভিসি চত্বরে যান। সেখান থেকে আবার রাজু ভাস্কর্যে আসেন। পরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
জাতীয় ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি তাহমিদ আল মুদ্দাসসির বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনার এত দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত অপরাধীরা গ্রেপ্তার হয়নি। অন্যদিকে এ দেশের জঙ্গি, খুনি ও অপরাধীদের যারা দেশে আশ্রয় দিচ্ছেন, প্রশ্রয় দিচ্ছেন, পালন করছেন, তাদের আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো শক্ত বার্তা দিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো বাংলাদেশের হয়ে উঠতে পারেনি, তারা ভারতের তাঁবেদারি করে যাচ্ছে।’