রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে নীতিগতভাবে একমত জামায়াত
২৬ অক্টো ২০২৪, ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আজ শুক্রবার সংলাপে বসে সংগঠনটি। জামায়াত এ বিষয়ে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংলাপে দলটির পক্ষ থেকে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ এবং মুখপাত্র উমামা ফাতেমা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, শুক্রবার জামায়াতের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা বসেছি। সেখানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল, নায়েবে আমির উপস্থিত ছিলেন। তারা আমাদের সাথে নীতিগতভাবে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রপতিকে সরানোর বিষয়ে তারা একমত। তবে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর এ বিষয়ে এক টেবিলে ঐক্যমত থাকা জরুরি বলে মন্তব্য করেছে দলটি। আমরাও সে চেষ্টা করছি।
তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া আমরা বিএনপির সঙ্গে আনঅফিসিয়ালি বসেছি। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশে না থাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা বসতে পারিনি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদের বাসায় একজন যুগ্ম মহাসচিব, প্রচার সম্পাদকসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বসার পর বিএনপির বক্তব্য জানতে পারব এবং গণমাধ্যমকেও জানাব।
তিনি জানান, আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও পর্যায়ক্রমে বসব। এ ছাড়া ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার মঞ্চ, ৩৬ জুলাই পরিষদ, ইনকিলাব মঞ্চসহ কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গেও আলোচনা করব। সবার সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করে আমরা একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাব এবং সরকারকে জানাব। রাজনৈতিক দলগুলো যদি রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে একমত না হয় তাহলে আমরা রাজপথে মোকাবিলা করে হলেও পদচ্যুতি ঘটাব।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির পদচ্যুতিতে আল্টিমেটাম দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ ছাড়া ইনকিলাব মঞ্চসহ কয়েকটি সংগঠন বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং বিক্ষোভ করেন। তবে রাজনৈতিক সমঝোতা না থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে ঐক্য্যের ডাক দেওয়া হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শুরু হয়।