রেস্তোরাঁর ডিশওয়াশার থেকে ট্রিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠানের মালিক হুয়াং

Daily Ajker Sylhet

admin

২৩ জুন ২০২৪, ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ


রেস্তোরাঁর ডিশওয়াশার থেকে ট্রিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠানের মালিক হুয়াং

অনলাইন ডেস্ক:
ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নিয়ার তালিকায় ১১তম ধনী ব্যক্তি জেনসেন হুয়াং। এখন পর্যন্ত এটি তার সর্বোচ্চ অবস্থান। তিনি একসময় কাজ করতেন রেস্তোরাঁর ডিশওয়াশার হিসেবে, আর এখন ট্রিলিয়ন ডলারের প্রতিষ্ঠানের মালিক।

জেনসেন হুয়াং জিপিইউ ও কম্পিউটার চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও। মাইক্রোসফট ও অ্যাপলকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে এনভিডিয়া। এখন কোম্পানিটির বাজারমূল্য প্রায় ৩.৩৩৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

চলতি মাসে চিপমেকার প্রতিষ্ঠানটির প্রতি শেয়ারমূল্য ৩.৫ শতাংশ বেড়ে ১৩৫.৫৮ ডলারে পৌঁছায়। ওয়াল স্ট্রিটে সর্বাধিক ব্যবসা করা কোম্পানি এখন এনভিডিয়া, যার গড় দৈনিক টার্নওভার ৫০ বিলিয়ন ডলার। চলতি বছরেই এনভিডিয়ার শেয়ারের মূল্য বেড়েছে ১৮২ ভাগ। আর গত বছর কোম্পানিটির শেয়ারের মূল্য বেড়েছিল তিনগুণ।

বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, হুয়াংয়ের বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ এখন প্রায় ১১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। এ তালিকা অনুযায়ী, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এবং ভারতীয় ধনকুবের রতন টাটার চেয়েও বেশি ধনী গ্লোবাল এ টেক সুপারস্টার।

কে এই জেনসেন হুয়াং?

জেনসেন হুয়াং ১৯৬৩ সালে তাইওয়ানের তাইনানে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে থাইল্যান্ডে চলে আসে তার পরিবার এবং নয় বছর বয়সে তাকে এবং তার ভাইকে ওয়াশিংটনের টাকোমায় এক চাচার কাছে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাঠিয়ে দে্ওয়া হয়। তিনি তার প্রাথমিক শিক্ষা কেন্টাকির ওনিডা এলিমেন্টারি স্কুল থেকে এবং স্নাতক পোর্টল্যান্ডের কাছাকাছি আলোহা হাই স্কুল থেকে সম্পন্ন করেন।

তবে সাফল্য খুব একটা সহজে ধরা দেয়নি হুয়াংয়ের কাছে। তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন বাসবয় হিসেবে। তারপর যোগ দেন ডেনি’স রেস্তোরাঁতে। প্রথমে ডিশওয়াশার এবং পরে পদোন্নতি পেয়ে ওয়েটার হিসেবে কাজ করেন সেখানে।

১৯৯৩ সালে তিনি ক্রিস মালাচোস্কি এবং কার্টিস প্রাইমের সাথে এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৭ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন তাকে ২৪.৬ মিলিয়ন ডলার বেতনসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৬১তম সর্বোচ্চ বেতনভোগী সিইও হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।

Sharing is caring!