স্টাফ রিপোর্টার:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বহাল তবিয়তে ঝুলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব প্রচার উপকরণ অপসারণের কথা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র।
সিলেট নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুতের খুঁটি, পিলার ও বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে এখনো সারি সারি ঝুলছে পোস্টার, ব্যানার। ফলে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে।নগরীর কোর্ট পয়েন্ট, আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, উপশহর, মেজরটিলা, টিলাগড়, শাহী ঈদগাহ, সুবিদ বাজার, মদিনা মার্কেট, আখালিয়া, বাগবাড়ি, মেডিকেল, শেখঘাটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কের মোড়, বিদ্যুতের খুঁটি ও বিভিন্ন স্থাপনায় ঝুলছে এখনও প্রার্থীদের প্রচারণা সামগ্রী। এতে নগরীর সৌন্দর্য যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।দেখা গেছে, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মাওলানা হাবিবুর রহমান, এনসিপি প্রার্থী এহতেশামুল হকসহ অন্যান্য প্রায় সব রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের আগাম প্রচারণার পোস্টার ও ব্যানার এখনো নগরজুড়ে দৃশ্যমান।
গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন এক নির্দেশনায় জানায়, তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্ভাব্য সব প্রার্থীকে নিজ খরচ ও দায়িত্বে ভোটের সব ধরনের প্রচার সামগ্রী অপসারণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেইট, তোরণ, ঘের, প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা এবং নির্বাচনী ক্যাম্প।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও নগরীর বিভিন্ন স্থানে এসব প্রচারণা সামগ্রী বহাল রয়েছে। এদিকে নগরবাসীর প্রত্যাশা, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সব ধরনের আগাম প্রচারণা দ্রুত অপসারণ করা হবে এবং একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
সচেতন নাগরিক প্রতিনিধি সেলিম হাসান, আহবাব লস্কর, সারওয়ার হোসেন, সাজ্জাদ রাহাতসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ‘নির্বাচনের আগে একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হওয়া জরুরি। প্রার্থীদের নিজ দায়িত্বে এসব ব্যানার-ফেস্টুন খুলে ফেলার কথা থাকলেও এখনো তা করা হয়নি। এসব ঝুলে থাকতে দেখতেও ভালো লাগে না।’
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম বলেন, ‘অনেক প্রার্থী ইতোমধ্যে আচরণবিধি মেনে তাদের প্রচারণা সামগ্রী অপসারণ করেছেন। যেগুলো এখনো অপসারণ হয়নি, সেগুলো সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় দ্রুত সরিয়ে ফেলা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আচরণবিধি বাস্তবায়নে প্রশাসন সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।’সিলেটভিউ২৪ডটকম/ এহিয়া