সিলেটে ধর্ষণ কাণ্ডে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বহিস্কার

Daily Ajker Sylhet

admin

০১ এপ্রি ২০২৪, ০৪:৫৯ অপরাহ্ণ


সিলেটে ধর্ষণ কাণ্ডে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা বহিস্কার

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটে তরুণীকে দুই দফা আটকে প্রায় দুই মাস ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর সংগঠন থেকে এক নেতাকে বহিস্কার করেছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ। গত রবিবার রাতে জরুরি সভায় আবদুস সালাম নামের ওই নেতাকে বহিস্কার করা হয়।

আবদুস সালাম সিলেট নগরীর লালাদিঘীরপাড় ৭০ নম্বর বাসার গাজী আবদুর রহিমের ছেলে ও ১১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। একই সাথে ১১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বহিস্কার ও কমিটি বিলুপ্তের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু।

ধর্ষণ মামলার অন্য আসামীরা হলেন- সিলেট নগরীর লালাদিঘীরপাড় ২৭ নম্বর বাসার ইশাদ মিয়ার ছেলে আবদুল মনাফ (৩৮) ও ঘাসিটুলার মতিন মিয়ার কলোনির রেখা বেগম (৩০)। গত ২৯ মার্চ রাতে কোতোয়ালী থানায় নির্যাতিতা তরুণীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর থেকে আসামীরা গা ঢাকা দিয়ে আছে।

দেবাংশু দাস মিঠু জানান, সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ায় ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দুস সালামকে বহিষ্কার ও একই সঙ্গে ওই ওয়ার্ড কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

সিলেট কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন জানান, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অবস্থান সনাক্তের চেষ্টায় রয়েছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, নগরীর ঘাসিটুলার মতিন মিয়ার কলোনির এক তরুণীকে ‘ভাল কাজ’ দেওয়ার কথা বলে একই কলোনির বাসিন্দা রেখা বেগম আবদুস সালামের হাতে তুলে দেয়। আবদুস সালাম তার বাসায় আটকে রেখে ২২ দিন ধর্ষন করে। পরে মেয়েটি মুক্ত হলেও কয়েকদিন পর ফের আবদুস সালাম মেয়েটিকে তুলে নিয়ে আবদুল মনাফের সহযোগিতায় হবিগঞ্জে আটকে রাখে।

সেখানে আবদুস সালাম, আবদুল মনাফসহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে তরুণীটিকে ধর্ষন করে। প্রায় দুই মাস নির্যাতনের পর গত ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে কৌশলে বন্দিদশা থেকে পালিয়ে আসে তরুণীটি। এ ঘটনায় ২৯ মার্চ কোতোয়ালী থানায় তিন জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামী করে মামলা করেন তরুণীর মা।

Sharing is caring!