সিলেটে ‘নতুন কর্মসূচি’ নিয়ে মাঠে বিএনপি
২৬ নভে ২০২৪, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দলকে মাঠে রাখার কৌশল নিয়েছে বিএনপি। নানা কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীকে ব্যস্ত রাখতে ইতোমধ্যেই নতুন নতুন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সিলেটেও ‘নতুন কর্মসূচি’ নিয়ে মাঠে রয়েছে দলটি।
কর্মসূচির মাধ্যমে তৃণমূল ও সাধারণ মানুষের আরও ঘনিষ্ঠ যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৩১ দফা নিয়ে তৃণমূল যাওয়ার পরিকল্পনায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর)
সিলেটে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সহ দফতর সম্পাদক মাহবুব আলম জানান, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মহানগরীর শাহী ঈদগাহস্থ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ভার্চুয়ালী যুক্তরাজ্য থেকে যুক্ত হবেন। কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব এবিএম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করবেন সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জিকে গউছ।
তিনি আরও জানান, সিলেট বিভাগের প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচজন করে এই কর্মশালায় অংশ নিবেন।
দায়িত্বশীল সূত্রের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই কর্মশালার মাধ্যমে দলের আদর্শ, নীতি ও রাষ্ট্র সংস্কারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এভাবে নির্বাচন পর্যন্ত মাঠ দখলে রাখার কৌশল নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরাও বিভাগের বিভিন্ন স্থানে প্রচারাভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। একি সঙ্গে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শোনা হচ্ছে রাষ্ট্র বিনির্মাণে।
সিলেট জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, নেতাকর্মীকে সক্রিয় রাখতে কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি তারা যাতে কোন অবস্থাতেই কোন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িত না হন সে ব্যাপরেও সর্তক করা হচ্ছে। জনগণের কাছাকাছি যেতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যা আগামী নির্বাচনে ইতিবাচক ফল দেবে।
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগরে ৩০ হাজারেরও অধিক মানুষের সমাগমে শোভাযাত্রা করে বিএনপি। সেই সঙ্গে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে একটি বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনের আয়োজনে ছাত্র-জনতার আন্দোলন এবং আগের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নিহতের প্রতিকৃতি-ফেস্টুন এবং বিএনপির গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের ছবি-সংবলিত ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত করা হয়েছিলো।