Beanibazarer Alo

  সিলেট     মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু-পাথর উত্তোলন

admin

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
সিলেটে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু-পাথর উত্তোলন

Manual2 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বালু ও পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বন্ধ নেই বালু ও পাথর আহরণ। আশঙ্কার বিষয় হলো সীমান্তে জিরো লাইন হতে এবং জিরো লাইন অতিক্রম করেও অনেক সময় পাথর উত্তোলন করা হয়। এতে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বালু-পাথর উত্তোলনকারী শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কারণে প্রশাসন এসব দেখেও দেখে না। অন্যদিকে পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।

Manual5 Ad Code

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জৈন্তাপুরের লালাখাল এলাকায় বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ১০ জন। এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর।

এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলার বন্ধ পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে যেভাবে পাথর উত্তোলন হচ্ছে তা ভয়াবহ। রয়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। নৌকাপ্রতি ৯০০ টাকায় এসব পাথর কিনছে একটি পাথর চক্র। বন্ধ পাথর কোয়ারিতে দেখা গেছে, কয়েক শ শ্রমিক দিনের বেলায় সীমান্তের ১২৮০ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলার এলাকা থেকে দেদার পাথর উত্তোলন করছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে এসব পাথর নিয়ে যাওয়া হয় আদর্শগ্রাম ঘাটে। পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকরা বলেন, পেটের দায়ে শ্রীপুর পাথর কোয়ারিতে পাথর উত্তোলন করি।

Manual5 Ad Code

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরো একজন বলেন, বন্ধ থাকা শ্রীপুর পাথর কোয়ারি থেকে প্রভাবশালী একটি চক্র সীমান্তের ১২৮০ মেইন পিলার এর ৪ এস পিলার এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন করে। সীমান্তে পাথর উত্তোলনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাধা দিলেও তারা পাথর উত্তোলন করে নিয়ে আসছে। এর ফলে যে কোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।

জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য বলেন, শ্রীপুর পাথর কোয়ারি সরকারিভাবে বন্ধ। কিন্তু গত দুই বছর হতে একটি প্রভাবশালী চক্র সীমান্তে জিরো লাইন হতে এবং জিরো লাইন অতিক্রম করে পাথর উত্তোলন করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ী পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকরা বলেন, এভাবে চুরি করে আমরা কাজ করতে চাই না—যদি সরকারিভাবে পাথর উত্তোলন করার সুযোগ তৈরি করা হতো তাহলে উপজেলার ৩০ হাজারের অধিক মানুষের কর্মসংস্থান হতো। কিন্তু যে হারে বন্ধ কোয়ারি হতে পাথর উত্তোলন হচ্ছে তাতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সূত্র মতে, পাথর ক্রয় ও বিক্রয়কালে নৌকাপ্রতি ‘লাইনম্যান’ টাকা আদায় করে।

Manual5 Ad Code

শেয়ার করুন