সিলেটে নৌকা নিয়ে চ্যালেঞ্জে আওয়ামী লীগ !

Daily Ajker Sylhet

admin

০২ মে ২০২৩, ০৩:২৫ অপরাহ্ণ


সিলেটে নৌকা নিয়ে চ্যালেঞ্জে আওয়ামী লীগ !

স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিতাব্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে অনেকটা চিন্তিত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দলের কেউ প্রকাশ্যে অবস্থান না নিলেও কেউ কেউ গোপনে নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও নির্বাচনে দায়িত্বশীলদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে।

গত সিটি নির্বাচনে দলীয় কোন্দলের কারণে সিলেটে নৌকার প্রার্থী হেরেছিলেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সেই সময় সিলেটের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে শোকজও করেছিলো কেন্দ্র। এবার সেই হারের পুণরাবৃত্তি যাতে না হয় সেটি নিয়ে ‘ঘুম হারাম’ দলটির। তবে কোন্দল নিরসনে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে দলটি।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, সিসিক নিয়ে এবার বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আওয়ামী লীগ। দলের বিদ্রোহী প্রার্থী বা অভ্যন্তরীণ কোন্দল অনেকটা স্পষ্ট হচ্ছে।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ইতিহাস ও ঐতিহ্যের একটি দল। এই দলের কর্মীরা নৌকরা জয়ের প্রশ্নে কখনও আপোষ করে না। গত নির্বাচনে আমার বাবা প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরান পরাজিত হয়েছিলেন। সেসময় আমরা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সিলেট সিটি উপহার দিতে পারিনি। এবার নৌকার জয় নিশ্চিত করে তাঁকে আমরা এই সিলেট সিটি করপোরেশন উপহার দিবো, ইনসাআল্লাহ।’

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নৌকার জয় নিশ্চিত করতে হলে হলে অভ্যন্তরীণ বিরোধ মিটিনো অতিজরুরী। দলকে আনোয়ারুজ্জামানের পেছনে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারলে পরাজয় ঠেকানো যাবে না। অন্যদিকে বর্তমান মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন করবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আওয়ামী লীগের বিপরীতে অন্য যেকোনো প্রার্থী চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারেন। বিরোধী ভোট এবং আওয়ামী লীগের একাংশের ভোটও যুক্ত হবে নৌকার বিপরীত বাক্সে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, নির্বাচন মানেই একটা চ্যালেঞ্জ। সেখানে জনগণের রায় পক্ষে আনা, নির্বাচিত হওয়া বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।আশা করি এ চ্যালেঞ্জে আমরা জয়ী হব।

প্রসঙ্গত- সিলেট সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৩ মে, বাছাই ২৫ মে। আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল দায়েরের শেষ সময় ২৮ মে। আর আপিল কর্তৃপক্ষের আপিল নিষ্পিত্তর শেষ সময় ৩১ মে। প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন, প্রতীক বরাদ্দ ২ জুন ও ভোট ২১ জুন। এ সিটিতে ভোটে প্রচার চালানো যাবে ২ জুন থেকে।

Sharing is caring!