Beanibazarer Alo

  সিলেট     বৃহস্পতিবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বামীকে দুলাভাই পরিচয় দেওয়া সেই যুবলীগ নেত্রী রিমান্ডে

admin

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০৭:২৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০৭:২৪ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
স্বামীকে দুলাভাই পরিচয় দেওয়া সেই যুবলীগ নেত্রী রিমান্ডে

Manual5 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা পৌর যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি মিম খাতুন ওরফে আফসানা মিম (২৬) ও তার স্বামী ওবাইদুল্লাহের (৩৬) এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাবনা শহরের মাসুম বাজার এলাকার বাসা থেকে পাবনা সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। নিজের স্বামীকে অন্য মানুষের কাছে দুলাভাই হিসেবে পরিচয় করিয়ে প্রতারণা করতেন মিম।

গ্রেপ্তারকৃত মিম খাতুন পাবনা পৌর সদরের পুরাতন মাসুম বাজার এলাকার মিন্টু মোল্লার মেয়ে এবং তার স্বামী ওবাইদুল্লা একই এলাকার মৃত মাওলানা কেসমত উল্লাহর ছেলে। মিম পাবনা পৌর যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি।

Manual7 Ad Code

এর আগে, সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু। মামলার বাদী মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু (৩২) পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা হাটপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পেশায় তিনি ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী। বর্তমানে রাজধানীর শাহজানপুরে বসবাস করেন। গুলশান-২ এ তার এবিএস নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

মামলার এজাহারে মনিরুজ্জামান ওরফে বাবু বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে মিমের সঙ্গে তার পরিচয়। এর কিছুদিন পর ওবাইদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে দুলাভাই হিসেবে তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মিম। পরবর্তীতে পাবনা শহরের রবিউল মার্কেটে ব্যবসার কথা বলে ও সেই ব্যবসায়ী অংশীদার রাখার আশ্বাসে বিভিন্ন সময়ে তার কাছ থেকে ১৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৯০ টাকা ধার নেন মিম ও ওবাইদুল্লাহ। গেলো বছরের ২ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আমার কাছ থেকে উল্লেখিত টাকা ধার নেন তারা।

তিনি বলেন, বিশ্বাসের কারণে দলিল ছাড়া লেনদেন হলেও পরে দলিল করতে চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। সর্বশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টাকা ফেরত চাইলে তারা পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না বলে মনিরুজ্জামান ওরফে বাবুকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

Manual4 Ad Code

মনিরুজ্জামান আরও বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জেনেছি দুলাভাই বলে পরিচয় দিলেও মূলত মিমের চতুর্থ স্বামী ওবাইদুল্লাহ। তারা দু’জন মিলে পরিকল্পিতভাবে আমাকে প্রতারণার জালে ফেলে। এর আগেও অনেকের সঙ্গে এমনটা করেছে। উপায় না পেয়ে এক পর্যায়ে আমি পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করি। আশা করছি, আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে এ বিষয়ে সুষ্ঠু বিচার পাবো।

Manual3 Ad Code

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতারণার মামলায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তিনি কোন দল করেন সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। এজাহারভুক্ত আসামি এটাই তার বড় পরিচয়। আসামির বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Manual5 Ad Code

শেয়ার করুন