Beanibazarer Alo

  সিলেট     বৃহস্পতিবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাত-মুখ বেঁধে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

admin

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:৫৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:৫৫ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
হাত-মুখ বেঁধে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

Manual6 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
বরগুনার তালতলীতে হাত-মুখ বেঁধে এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্থানীয় ওই ইউপি সদস্যসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

Manual1 Ad Code

শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার মঠখোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এনায়েত পিয়াদা ছোটবগী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মঠখোলা এলাকায় বাবার বাড়িতে থাকেন স্বামী পরিত্যক্তা চার সন্তানের জননী ওই নারী। দীর্ঘদিন ধরে ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদা ওই নারীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন। এতে রাজি না হওয়ায় রাত ২টার দিকে ইউপি সদস্যসহ ৫-৬ জন লোক মাটি খুঁড়ে (সিঁদ দিয়ে) ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার হাত-মুখ ও পা বেঁধে ফেলে। পরে অন্য কক্ষে থাকা তার ভাইকে (তৃতীয় লিঙ্গ) বেঁধে রেখে ওই নারীকে ইউপি সদস্যসহ তিনজন ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার মেয়ে ঘুম থেকে উঠে লাইট জ্বালিয়ে দেখে চিৎকার করলে সবাই পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ঘরে থাকা ৪৩ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে ‘৯৯৯’ এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ অজ্ঞাত চারজনকে আসামি করে তালতলী থানায় মামলা করেন নির্যাতনের শিকার নারী। ধর্ষিতা নারীর ভাই (তৃতীয় লিঙ্গ) বলেন, ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদাসহ কয়েকজন আমাকে ও আমার বোনের মেয়েকে হাত-পা বেঁধে একটি রুমে আটকে রাখে। অন্য রুমে আমার বোনকে ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর থেকে আমি বাবার বাড়িতে থাকি। ইউপি সদস্য এনায়েত আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। রাজি না হওয়াতে মাটি খুঁড়ে আমার ঘরে ঢুকে হাত-মুখ ও পা বেঁধে এনায়েতসহ তিনজন আমাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে বললে আমার ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়ে যায় তারা। তবে ইউপি সদস্য ছাড়া বাকি কাউকে চিনি না।

Manual2 Ad Code

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য এনায়েত পিয়াদা বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এসব করছে। তালতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। ইউপি সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনায় পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Manual2 Ad Code

 

Manual8 Ad Code

শেয়ার করুন