Beanibazarer Alo

  সিলেট     বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের বলি হলেন বিচারপতির ভাতিজি ফাতেমা

admin

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৩ | ০২:৪৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ | ০২:৪৭ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
যৌতুকের বলি হলেন বিচারপতির ভাতিজি ফাতেমা

Manual6 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

ভিকটিমের নাম ফাতেমা নাসরিন (৪৫)। তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভাতিজি।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত ১টার দিকে আগারগাঁও নিওরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফাতেমা নাসরিন। এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় বোন আরজিনা বেগম (৫২) বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মূল অভিযুক্ত করা হয় ভিকটিমের স্বামী মির্জা সাখাওয়াত হোসেনকে (৪৯)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা নাসরিন ও মির্জা সাখাওয়াত হোসেনের দীর্ঘ ১৯ বছরের দাম্পত্য জীবন। দাম্পত্য জীবনে ১৭ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকে সাখাওয়াত বিভিন্ন সময় ফাতেমার কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিল। সাখাওয়াত বিভিন্ন সময় তার স্ত্রীকে চাপ দেয় যে, সে ঠাকুরগাঁও এ অবস্থিত তার পৈতৃক বাড়ি বিক্রি করে এনে যেন তাকে ১ কোটি টাকা দেয়। কিন্তু ওই পৈতৃক বাড়িতে আরও অনেকের অংশ রয়েছে, তাই একা বিক্রি করা যাবে না বলে ফাতেমা তার স্বামী সাখাওয়াতকে জানায়।

Manual3 Ad Code

এতে সাখাওয়াত ক্ষিপ্ত হয়ে ফাতেমাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন। সন্তান ও সংসারের কথা চিন্তা করে এসব অত্যাচার মুখবন্ধ করে সহ্য করে আসছিলেন ফাতেমা।

Manual1 Ad Code

কিন্তু দিন দিন সাখাওয়াতের নির্যাতন বেড়ে যাওয়া ফাতেমা আর সহ্য না করতে পেরে জানুয়ারি মাসে পঞ্চগড় সদর থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাখাওয়াত গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। পরে তিনি জামিনে বের হয়ে আবারও যৌতুকের টাকা জন্য ফাতেমাকে চাপ দিতে থাকেন। সর্বশেষ গত ৮ মার্চ যৌতুকের টাকার দাবিতে সাখাওয়াত তার মোহাম্মদপুরের বাসায় ফাতেমাকে চাপ দিতে থাকে। এতে প্রতিবাদ করলে সাখাওয়াত ধারালো বটি ও মশলা বাটার কাঠের বাটলা দিয়ে ফাতেমার মাথায় থেতলিয়ে দেয়। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করে।

Manual4 Ad Code

সর্বশেষ যখন সাখাওয়াত তার স্ত্রীকে দা দিয়ে জবাই করতে উদ্যত হয় তখন তাদের সন্তান এসে বাধা দেয়। পরে ফাতেমাকে দ্রুত উদ্ধার করে আগারগাঁও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি গতকাল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, গতকাল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাতেমা মারা গেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে স্বামীর নির্যাতনে ফাতেমার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মোহাম্মদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ফাতেমার স্বামীকে আমরা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছি। এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।

Manual6 Ad Code

 

শেয়ার করুন