এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন হোক
১৫ ফেব্রু ২০২৪, ০৫:৫৯ অপরাহ্ণ
সম্পাদকীয় :
আজ ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এবার এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় সব মিলে ২০ লাখের বেশি পরীক্ষার্থীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এতে অংশ নেবে। ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ‘কুইক রেসপন্স টিম’ প্রস্তুত থাকার কথা রয়েছে। যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) কল করে সহায়তার আহ্বান জানানো যাবে। আমাদের প্রত্যাশা, শিক্ষার্থীদের যে কোনো অসুবিধা মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য সারা দেশেই এ ধরনের ব্যবস্থা রাখা হবে।
রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরের নাগরিকদের প্রতিদিন যানজট সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। কাজেই পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সড়ক-মহাসড়কের যানজটের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে বাসা থেকে বের হতে হবে। এসএসসি শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষা বোর্ড থেকে কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং দুই পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। শিক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনাগুলো মানার বিষয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তাদের পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাটের চর্চা করেছে অতীতে বহুবার। তারপরও পরীক্ষার্থীদের উচিত তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রে প্রয়োজনীয় সব তথ্য সঠিকভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতার পরিচয় দেওয়া। এ বিষয়ে কী কী করণীয় তা তাদের সময়মতো জানাতে হবে।
অতীতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে নানা অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও ভুলত্রুটির ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে কর্তৃপক্ষকে বিশেষ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। পরীক্ষা চলাকালে কোনো ধরনের ভুলত্রুটির সূত্রপাত হলে দ্রুত সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিতে হবে। যেহেতু পরীক্ষার্থীরা বহুদিন পর পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, সেহেতু তাদের কারও কারও মনে ভীতি থাকা অস্বাভাবিক নয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সঠিক প্রস্তুতি ও মনোবল এ শঙ্কা দূর করবে। আমরা মনে করি, নিজের ওপর শতভাগ বিশ্বাস রাখলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাবিষয়ক চ্যালেঞ্জগুলো সহজেই মোকাবিলা করতে পারবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কর্তৃপক্ষকে জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে অপরাধীদের চিহ্নিত করতে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিতে হবে। পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট কেউ যেন কোনো ধরনের অপকর্ম করার সুযোগ না পায় সেজন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁসবিষয়ক গুজব ছড়ালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।