Beanibazarer Alo

  সিলেট     শুক্রবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশ হত্যা মামলা: আরাভ খানের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ

admin

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৩ | ০৭:২৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৩ | ০৭:২৪ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
পুলিশ হত্যা মামলা: আরাভ খানের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ

Manual5 Ad Code

কোর্ট রিপোর্টার :
পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান ওরফে মামুন হত্যা মামলার আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

Manual2 Ad Code

মঙ্গলবার এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালতে জাহাঙ্গীরকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। বাদীর জেরা শেষ হওয়ায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ জুন নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে গত বছরের ২৮ জুলাই মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আলমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত। এদিন কারাগারে আটক ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলার আসামিদের মধ্যে রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া পলাতক রয়েছেন। অন্য আসামিরা হলেন-রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর বনানীতে খুন হন পুলিশ পরিদর্শক মামুন। ঘটনার তিন দিন পর তার ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

Manual4 Ad Code

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বনানীর ২ নম্বর সড়কের ৫ নম্বরের ওই বাসায় নিয়ে আসামি দিদার, স্বপন, রহমত উল্লাহ পুলিশ কর্মকর্তা মামুনের হাত-পা বেঁধে ফেলেন। পরে ওই তিন আসামির সঙ্গে মিজান, আতিক ও সারোয়ার যুক্ত হয়ে মামুনকে নির্দয়ভাবে মারতে থাকেন। এতে মামুন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রাত ১০টার দিকে আসামি কেয়া (রবিউলের স্ত্রী) বাসা থেকে চলে যান। রাতের কোনো একসময় সেখান থেকে রবিউলও চলে যান। গভীর রাতে আসামি আতিক আসামি স্বপনকে ডেকে বলেন, ‘দাদা, দেখেন তো পুলিশ কর্মকর্তার হাত-পা কেমন শক্ত মনে হচ্ছে।’ ভোরবেলায় তারা নিশ্চিত হন যে মামুন মারা গেছেন। মামুন মারা যাওয়ার পর রহমত উল্লাহ সবাইকে বলেন, মরদেহ গুম না করলে তারা সবাই বিপদে পড়ে যাবেন। কারণ, মামুন তার বন্ধু। তিনি মামুনকে ফোন করে ডেকে এনেছেন। রহমত উল্লাহর মুঠোফোনের শেষ কলটিও তার (মামুনের)। তখন স্বপন মুঠোফোনে রবিউলকে মামুনের মৃত্যুর বিষয়টি জানান। স্বপন বলেন, ‘এখন আমরা কী করবো? আপনি সকালে এখানে আসেন। দুটি বস্তা ও একটি সাদা কাপড় নিয়ে বাসার নিচে আসেন রবিউল। তার কাছ থেকে বস্তা নিয়ে বাসার ওপরে যান দিদার। এসময় রহমত উল্লাহ, আতিক ও মিজানকে সঙ্গে নিয়ে বাসার নিচে গিয়ে তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি লিফটের দরজার কাছে নিয়ে রাখেন। সকাল সাতটার দিকে স্বপন, দিদার ও আতিক মিলে মামুনের মরদেহ লিফটে করে নিচে নামান। সবাই মিলে গাড়ির পেছনের অংশে মরদেহ তোলেন। পরে রহমত উল্লাহ ওই গাড়ি চালিয়ে বনানীর রাস্তায় যান। গাড়িতে ছিলেন দিদার, স্বপন ও আতিক। সেখানে রবিউল তার স্ত্রী কেয়াকে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলসহ অপেক্ষায় ছিলেন। পরে সেখান থেকে রবিউলের মোটরসাইকেল অনুসরণ করে রহমত উল্লাহ গাড়ি চালাতে থাকেন। খিলক্ষেতের একটি পাম্পে গিয়ে মোটরসাইকেলে তেল নিয়ে রবিউল ফিরে আসেন। আর গাড়ি নিয়ে রহমতউল্লাহ যান গাজীপুরের দিকে। এ সময় রবিউলের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে কথা বলেন দিদার ও স্বপন। গাজীপুরের শিমুলতলীতে দিদার, স্বপন ও আতিক একটি দোকান থেকে সাত লিটার পেট্রোল কেনেন। রবিউল আসামি স্বপনের মুঠোফোনে টাকা পাঠান। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে উলুখোলা থেকে আবদুল্লাহপুর যাওয়ার পথে একটি বাঁশবাগানে পেট্রল ঢেলে মামুনের মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর গাড়ি নিয়ে সবাই ঢাকায় ফিরে আসেন।

Manual8 Ad Code

ঘটনার তিন দিন পর ১০ জুলাই গাজীপুরের একটি জঙ্গলে পুলিশ পরিদর্শক মামুনের মরদেহের হদিস মেলে। এ মামলায় ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

Manual5 Ad Code

 

শেয়ার করুন